Md. Abdul Quddus
Sirajganj Correspondent:
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস. এম. হাসান তালুকদারের সার্বিক দিকনির্দেশনায় আজ বুধবার সকাল ৯:১৫ মিনিটে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। এরপর ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মবলিদানকারী সকল শহিদ থেকে শুরু করে ২০২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আত্মবলিদানকারী সকল শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এসময় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া, সম্মানিত ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষকমণ্ডলী, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

৯:৩৫ মিনিটে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ। এছাড়াও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) জনাব নজরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপিপি সংক্রান্ত কাজে ঢাকায় অবস্থান করার কারণে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস. এম. হাসান তালুকদার স্যার আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন নাই কিন্তু তিনি শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্যবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মাননীয় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয় বলেন, একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ পেতে বাঙালির সুদীর্ঘ সংগ্রাম ও আত্মবলিদানের চূড়ান্ত ধাপের সূচনা ১৯৭১ সালের এই দিনে। ২৫শে মার্চ রাতের আঁধারে শত শত নিরস্ত্র বাঙালিকে হত্যার মধ্য দিয়ে তৎকালীন বর্বর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালির প্রতিবাদী কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু বাঙালি তো দমেইনি বরং রুখে দাঁড়িয়ে জয় করেছে স্বাধীনতার লাল সূর্য। জয় করেছে অগনিত শহিদের রক্ত ও মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে একটি স্বাধীন ভূখণ্ড। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমাদের ঋণ অসীম। দেশের নাগরিক হিসেবে যার যে দায়িত্ব সেটি যথার্থরূপে পালনের মধ্য দিয়ে একটি উন্নত ও সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারলে সেই ঋণ কিছুটা হলেও পূরণ করা সম্ভব হবে।
আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ-সময় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২৫ মার্চ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৭:০০টায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে শহিদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়।