মোঃ রেজাউল হক শাকিল, ব্রাহ্মণপাড়া ( কুমিল্লা ) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পুরোদমে চলছে বোরো ধান ঘরে তোলার কাজ। এ নিয়ে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। বোরো ধান ঘরে তোলার সময় বৃষ্টি চান না কৃষকরা। আকাশে মেঘ জমতে দেখলেই কৃষকরা ব্যাকুল হয়ে ওঠেন।
শনিবার ( ৩ মে ) সকাল থেকেই আকাশে কালো মেঘ জমতে শুরু করে। কালো মেঘের আনাগোনার ফাঁকে ফাঁকে মাঝে মাঝে রোদের ঝলক দেখা গেলেও অধিকাংশ সময় আকাশ মেঘের দখলে থাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনায় মন ভালো নেই বোরো চাষিদের।
কৃষকরা বলছেন, এ সময়ের বৃষ্টি তাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠবে। এখনো জমিতে পাকা ধান কাটার বাকি। যেসব ধান কাটা হয়েছে তা সিদ্ধ করে শুকিয়ে গোলায় তুলতে হবে। খড় শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। এ সময় বৃষ্টি হলে সবকিছু পণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় কৃষক মনিরুল ইসলাম বলেন, আর কয়েকদিন বৃষ্টি না হলে আমরা ভালোভাবে বোরো ধান ঘরে তুলতে পারব। এখন বৃষ্টি হলে আমাদেরকে সমস্যায় পড়তে হবে। সকাল থেকে আকাশে মেঘ দেখা যাচ্ছে। ভয়ে আছি, বৃষ্টি হলে জমিতে রাখা কাটা ধান বাড়ি আনতে বেগ পেতে হবে।
বশির আহাম্মদ নামে একজন কৃষক বলেন, বোরো ধান কাটার বাকি কিছু জমি এখনো রয়েছে। অধিকাংশ ধানই কাটা হয়ে গেছে। তবে সংগৃহীত এসব ধান সিদ্ধ করে শুকিয়ে গোলায় তোলার বাকি। এ সময় বৃষ্টি হলে আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারি।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাসুদ রানা কালবেলাকে বলেন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার প্রায় ৭৫ শতাংশ বোরো ধান কর্তন শেষ হয়েছে। এ সময় অঝোর বৃষ্টি বোরো চাষিদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। কৃষকরা রোদে পোড়ে বিরতিহীনভাবে কষ্ট করে বোরো ধান সংগ্রহ করছেন। ধান কাটা, শুকানো, খড় শুকানোর কাজে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ সময় দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টি হলে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। আশা করা যাচ্ছে বৃষ্টি দীর্ঘমেয়াদি হবে না এবং কৃষক ভাইয়েরা নির্বিঘ্নে ফসল ঘরে তুলবেন। এই বছর ফলনও আশানুরূপ হয়েছে।