Kamrul Hasan Kajal, Habiganj Correspondent:
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে কুশিয়ারা নদীর পানি শূন্যতায় সেচের অভাবে ইরি- বোরো ফসলের আশংকা দেখা দিয়েছে। এক কালের খরস্রোতা নদী কুশিয়ারা এখন দিগন্ত বিস্তৃত খোলা মাঠ ও নদীতে পানির অভাবে শুকিয়ে এখন চৌচির হয়ে গেছে। এক দিকে বৃষ্টি নেই অপর দিকে ভূর্গস্তে পানি নেই। ফলে চলতি ইরি বোরো মৌসুমে উপজেলার এতে কাগাপাশা ইউনিয়নের চাষিরা পানির অভাবে সেচ দিতে পারছে না কয়েক হাজার একর জমিতে।সরেজমিন দেখা যায়,কাগাপাশা হাওরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া এক সময়ের খরস্রোতা কুশিয়ারা নদীর গতিপথটি শুকিয়ে যায়।
দীর্ঘ দিন ধরে নদীটি খনন না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। একই সাথে নেমে গেছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। নদীতে পানি না থাকায় সংকটে পড়েছেন চাষিরা।চলতি ইরি মৌসুমে পানির অভাবে কাগাপাশা ইউপি কুশিয়ারা, বুরাজুর এবং সুটকি নদীর দুই পাড়ের কৃষকদের জমিতে সেচ দিতে পারছেন না। এতে আগাম মৌসুমে ইরিবোরো সফল কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিজ্ঞদের অভিমত জানিয়েছেন। অথচ বর্ষা মৌসুমে এ হাওর এলাকাটি বছরের ছয় মাস পানির নিচে থাকে। একমাত্র ইরি ধান আবাদ করে চাষিরা সারা বছরের জীবিকা নির্বাহ করেন। দারিদ্র কৃষকগণ ঋণের বোঝা নিয়ে পানির অভাবে সম্ভাব্য ফসলহানির আশঙ্কা মাথায় রেখে পরিবারের ভরণ-পোষণ ও ঋণ পরিশোধ নিয়ে চরম উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। কৃষকগণ জানায়, কিছুদিন আগে রোপণ করা ধানের চারাগুলো বেড়ে উঠছে।
এখন জমিতে সেচ দেওয়া দরকার।নদী শুকিয়ে যাওয়ায় কয়েক দিন আগেই বন্ধ হয়ে গেছে বিএডিসি কিংবা ব্যক্তি মালিকানাধীন সেচ পাম্পগুলো।এ ব্যাপারে ধনপুর গ্রামের প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ ইজাজুল ইসলাম তালুকদার জানায় নদীতে পানি না থাকায় জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে চাষিদের মধ্যে হাহাকার। অপরদিকে নদীতে পানি ও নেই। অনাবৃষ্টিজনিত এক টানা খরা। এর ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তরও নেমে গেছে। কাগাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদ আলী জানান,দীর্ঘ দিন ধরে খনন না করায় এ এলাকার কুশিয়ারা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। ফলে এবার শুধু এলাকার কৃষকেরাই নয়, কয়েক হাজার জেলে পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। নদী শুকিয়ে যাওয়ায় তাদের মাছ ধরা ও বন্ধ হয়ে গেছে।