রুবেল হোসাইন, বিশেষ প্রতিনিধি (কিশোরগঞ্জ):
শিশুদের অপুষ্টি রোধ ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার কৃষকরা এখন জিংক সমৃদ্ধ ধান চাষের দিকে ঝুঁকছেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সক্রিয় প্রচেষ্টা ও সহায়তায় এবার উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চাষ হচ্ছে এই বিশেষ ধান, যার মধ্যে ‘ব্রি ধান-৮৯’, ‘ব্রি ধান-৯২’ এবং ‘ব্রি ধান-১০০’ উল্লেখযোগ্য।
এই জাতের ধান শুধু পুষ্টিগুণে নয়, ফলনেও এগিয়ে। প্রতি কেজি ধানে ২৪–২৬ মিলিগ্রাম জিংক থাকে, যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুদের অপুষ্টি মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখে। চাল চিকন ও সাদা হওয়ায় বাজারে এর চাহিদাও বাড়ছে।
দক্ষিণ চরপুমদী গ্রামের কৃষক মো. হাবিব মিয়া বলেন, “প্রথমে একটু ভয় ছিল, নতুন ধান বলে। কিন্তু কৃষি অফিসের সাহায্যে সাহস করে লাগালাম। ফলনও ভালো হয়েছে। যদি সরকার সরাসরি কিনে নেয়, তাহলে আমাদের লাভ হবে।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ একে এম শাহজাহান কবির বলেন, “জিংক সমৃদ্ধ ধান পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কৃষকদের উৎসাহ দিতে আমরা প্রশিক্ষণ ও বীজসহ নানা সহায়তা দিচ্ছি। ভবিষ্যতে হোসেনপুরে এটি প্রধান কৃষিপণ্য হয়ে উঠবে।”
পুষ্টিবিদদের মতে, দেশের একটি বড় জনগোষ্ঠী বিশেষ করে শিশুরা জিংকের অভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে। এই ধান খাদ্য তালিকায় নিয়মিত অন্তর্ভুক্ত হলে জাতীয় পর্যায়ে পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।
সরকারি সহায়তা ও বাজার সহায়ক হলে জিংক সমৃদ্ধ এই ধান হতে পারে হোসেনপুর তথা বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সূচনা।