সৈয়দ আমিরুজ্জামান :
১৮৮৬’র পহেলা মে
শিকাগোর ‘হে’ মার্কেটে
শ্রমিকের তাজা খুনে ভেসে গেল খোলা রাজপথ
প্রথম শহীদ হলো মজুর…
লাল সালাম, লাল সালাম, লাল সালাম
রক্তে ধোয়া মে.. তোমায় সালাম…
আন্তর্জাতিক শ্রমিকশ্রেণীর আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাসে ১ মে এক ঐতিহাসিক সংগ্রাম বিপ্লবী শপথে ঐক্যবদ্ধ ও প্রদীপ্ত হওয়ার দিন।
নতুন এক অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা সহ উন্নয়ন সমৃদ্ধি অগ্রযাত্রার স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি আর্থসামাজিক টেকসই কর্মসূচি প্রণয়ন ও দ্রুত বাস্তবায়নের রোডম্যাপসহ বৈষম্যহীন ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য আন্দোলন-সংগ্রামের নতুন এক দায় নিয়ে উপস্থিত হয়েছে এবারের মহান মে দিবস। শ্রমিক শ্রেণি ও সকল স্তরের জনগণসহ রাষ্ট্র, সরকার ও প্রশাসনের স্ব স্ব দায়িত্ব পালনে যথাযথ ভূমিকা পালন প্রত্যাশিত।
পহেলা মে হচ্ছে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস। এর বিপ্লবী তাৎপর্য অনুধাবন করে আজকের প্রেক্ষাপটে তা কার্যকরী করা দেশে দেশে শ্রমিকশ্রেণির অবশ্য কর্তব্য।

মে দিবসের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, উনবিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকে আট ঘন্টা শ্রম দিবসের দাবীতে যে সংগ্রামের শুরু তা অগ্রসর হয়ে বিস্ফোরিত হয় ১৮৮৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্টের হে মার্কেটের শ্রমিক আন্দোলনে।
মার্কিন যুক্তরাষ্টের শ্রমিক আন্দোলনের জোয়ারের প্রেক্ষাপটে ১৮৬৬ সালে বাল্টিমোরে ৬০টি ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা গঠন করেন আমেরিকার শ্রমিকশ্রেণির প্রথম জাতীয় ফেডারেশন ন্যাশনাল লেবার ইউনিয়ন। এই সম্মেলনে গ্রহণ করা হয় আট ঘন্টা শ্রম দিবসের ঐতিহাসিক প্রস্তাব।
প্রস্তাবে বলা হয়, “এদেশের শ্রমিককে পুঁজিবাদী দাসত্বের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য বর্তমানে প্রথম ও বিরাট অর্জন হচ্ছে এমন একটা প্রস্তাব পাশ করা, যার ফলে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত রাজ্যগুলোতে আট ঘন্টাই যেন স্বাভাবিক কাজের দিন বলে গণ্য হতে পারে। যত দিন এই গৌরবময় ফল অর্জন করতে না পারি, ততদিন আমরা আমাদের সর্বশক্তি নিয়োগের সংকল্প নিচ্ছি।”
বিশ্ব কমিউনিষ্ট আন্দোলনের সূচনা হয় উনবিংশ শতাব্দীর ৪০-এর দশকে। মহামতি কমরেড কার্ল মার্কস-এঙ্গেলস এর নেতৃত্বে রচিত কমিউনিষ্ট ইশতেহার ঘোষিত হয় ১৮৪৮ সালে। শ্রমিকশ্রেণীর সংগ্রামের গতিপথে ১৮৬৪ সালে গঠিত হয় প্রথম কমিউনিষ্ট আন্তর্জাতিক।
১৮৬৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম আন্তর্জাতিকের জেনেভা কংগ্রেসে গ্রহীত এক প্রস্তাবে বলা হয় যে, “কাজের দিনের বৈধ নিয়ন্ত্রণ একটি প্রাথমিক ব্যবস্থা, যা না হলে শ্রমিকশ্রেণির উন্নতি ও মুক্তির সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য। এই কংগ্রেসে কাজের দিনের বৈধ সীমাকে আট ঘন্টা করার প্রস্তাব করছে।”
কাজের সময়সীমা ৮ ঘন্টা দাবী বাস্তবায়িত করা সংগ্রামের গতিপথে ১৮৮৪ সালে ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ১৮৮৬ সালের ১ মে সমাবেশ, বিক্ষোভের। কিন্তু বুর্জোয়াশ্রেণির সরকারের পুলিশ ও গুণ্ডা বাহিনীর নির্মম দমন-পীড়নের প্রতিবাদে ১ মে শ্রমিক ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নাইটস অব লেবার ও আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবারের নেতৃত্বে বুর্জোয়াশ্রেণির সকল চক্রান্ত্র-ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে ১ মে শ্রমিক সমাবেশ ও ধর্মঘট সফলভাবে পালিত হয়। শ্রমিক আন্দোলন ও ধর্মঘট ছড়িয়ে পড়ে এবং শিকাগো শহরে তা জঙ্গীরূপ লাভ করে। শিকাগোর ম্যাক কমিক রিপার কারখানার ধর্মঘটী শ্রমিকদের সভায় পুলিশ জানোয়ারের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে ছয়জন শ্রমিককে হত্যা করে এবং অনেককে আহত করে। সাথে পুঁজিপতি শ্রেণির দালালদের সাথেও সংঘর্ষ শুরু হয়। মালিক ও পুলিশের এই বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে ৪ মে শ্রমিকেরা শিকাগোর হে মার্কেটে প্রতিবাদ সভার ডাক দেয়। প্রতিবাদ সভা চলাকালে পুলিশের পৈশাচিক গুলিবর্ষণে নিহত হন ৭ জন শ্রমিক এবং হতাহত হন অনেকে।
৮ ঘন্টা শ্রম দিবসের এই ঐতিহাসিক সংগ্রামে নেতৃত্ব দেবার জন্য পুলিশ গ্রেপ্তার করে ৭ জন শ্রমিক নেতা –অগাষ্ট স্পাইজ, সীমফেল্ডেন, মাইকেল, জর্জ এঞ্জেল, এডলফ ফিশার, লুই নিংগ ও অঙ্কার নিবেকে। বুর্জোয়া শ্রেণি ও তাদের স্বার্থরক্ষাকারী সরকার ফাঁসির আদেশ দেয় শ্রমিকশ্রেণির নির্ভীক, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বীর নেতা অগাষ্ট স্পাইজ, পার্সনস, ফিশার ও এঞ্জেলকে।
ক্ষমা প্রদর্শনের আবেদন জানাতে অস্বীকার করে এই সব বীর শ্রমিক নেতারা সৃষ্টি করেন আত্মত্যাগ ও বিপ্লবী দৃঢ়তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ও ইতিহাস।
অগাষ্ট স্পাইস আদালতে বলেন, “অভাব ও কষ্টে খেটে খাওয়া লক্ষ লক্ষ শোষিত মানুষের আন্দোলনে তাদের মুক্তির আশা দেখে আপনারা যদি ভাবেন যে, আমাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়েই আপনারা সেই শ্রমিক আন্দোলনকে উচ্ছেদ করতে পারবেন, যদি এটাই আপনাদের মত হয়, তবে দিন আমাদের ফাঁসি। এখানে একটা স্ফুলিঙ্গের ওপর আপনারা পা দেবেন, কিন্তু সেখান থেকেই আপনাদের পেছনে, আপনাদের সামনে এবং সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে লেলিহান অগ্নিশিখা। এটা ভূ-গর্ভের আগুন এবং আপনারা তা কখনও নেভাতে পারবেন না। ”তিনি বলেন, “আজ তোমরা আমাদের টুটি টিপে ধরেছো, কিন্তু আমাদের নীরবতা সেই কণ্ঠস্বরের চেয়েও অনেক বেশী শক্তিশালী হয়ে উঠবে এমন দিন আসবে।” ফাঁসির পূর্বে ফিশারের মত সর্বহারা বীররাই এমন কথা উচ্চারণ করতে পারেন যে, “এটা আমার জীবনের সবচেয়ে খুশীর মূহুর্ত।” ফাঁসির দড়ি গলায় পরেও অপারাজেয় যোদ্ধা এঞ্জেল ঘোষণা করেন, “জনগণের কষ্ঠস্বর শোনা হোক।” পারসনের মতো সর্বহারা যোদ্ধারাই মৃত্যুর পূর্বে তার স্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তুলে ধরতে পারেন এমন সর্বহারা ভাবমানস, “আমার অসহায় প্রিয় বৌ, তোমাকে আমি জনগণের কাছেই অর্পণ করছি, তুমি জনগণের একজন নারী। তোমার কাছে আমার একটি অনুরোধ, আমি যখন রইব না তখন কোন বেপরোয়া কাজ করোনা, তবে সমাজতন্ত্রের মহান আদর্শকে আমি যেখানে রেখে যেতে বাধ্য হলাম, সেখান থেকে তাকে তুলে ধরো।” অধিকার ও মুক্তি ছিনিয়ে আনার সংগ্রামের অগ্নিশিখা ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে।
অনেক ত্যাগ, রক্ত, সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পায় ৮ ঘন্টা শ্রম দিবসের দাবী। কিন্তু এর মধ্যে তা সীমাবদ্ধ ছিল না, এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না, এটা হচ্ছে শ্রমিকশ্রেণির মুক্তির লক্ষ্যে মজুরী দাসত্ব ব্যবস্থা তথা পুঁজিবাদ উচ্ছেদ করে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মহান সংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
বিশ্বব্যাপী কমিউনিষ্ট আন্দোলনের গতিধারায় ১৮৮৯ সালে মহামতি এঙ্গেলসের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হলো দ্বিতীয় কমিউনিষ্ট আন্তর্জাতিক। দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকের প্যারিস কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত হয় ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস হিসাবে পালন করার।
মে দিবসের বৈপ্লবিক তাৎপর্য তুলে ধরে মহামতি কমরেড ফ্রেডারিখ এঙ্গেলস ঘোষণা করেন, “শুধু ৮ ঘন্টা শ্রমদিবসের জন্য মে দিবসের সমাবেশ নয়, তাকে অবশ্যই সামাজিক পরিবর্তনের মাধ্যমে শ্রেণি বৈষম্য ধ্বংস করার শ্রমিকশ্রেণির দৃঢ় সংকল্প গ্রহণের সমাবেশে পরিণত করতে হবে।”
নিউইয়র্কের মে দিবসের সমাবেশে ঘোষণা করা হয়, “৮ ঘন্টা কাজের দিনের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার সময় আমরা কখনো ভুলব না যে আমাদের চুড়ান্ত লক্ষ্য হল বুর্জোয়া মজুরী দাসত্ব ব্যবস্থার উচ্ছেদ সাধন।”
মে দিবসের এই বৈপ্লবিক তাৎপর্য উর্দ্ধে তুলে ধরে অগ্রসর হয়েছে বিশ্ব শ্রমিকশ্রেণি এবং বিশ্ব কমিউনিষ্ট আন্দোলন।
১৯১৭ সালের ৭ নভেম্বর কমরেড লেনিনের নেতৃত্বে রাশিয়ার শ্রমিকশ্রেণির নেতৃত্বে বল প্রয়োগে বুর্জোয়াশ্রেণিকে উৎখাত করে জয়যুক্ত হয় মহান সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব। মজুরী দাসত্বের পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তে মূলত প্রতিষ্ঠিত হল সর্বহারা একনায়কত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা।
১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ফ্যাসিবাদের পরাজয়ের মধ্যে দিয়ে পূর্ব ইউরোপের ৭টি দেশে প্রতিষ্ঠিত হলো শ্রমিকশ্রেণির নেতৃত্বে জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব। পরবর্তীতে নানা আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক কারণে ১৯৫৩ সালে মহামতি কমরেড স্ট্যালিনের মৃত্যুর পর সংশোধনবাদী ক্রুশেভ চক্র কমিউনিস্ট পার্টি ও রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে। ক্রশ্চেভ চক্র ১৯৫৬ সালে অনুষ্ঠিত সিপিএসইউ এর ২০তম কংগ্রেসের মধ্যদিয়ে সর্বহারা একনায়কত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক রাশিয়ায় পুঁজিবাদ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে। পুঁজিবাদ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে (আলবেনিয়া বাদে)। মাও-সেতুং চিন্তাধারার ফলশ্রুতিতে চীনেও সমাজতন্ত্রের পথ ধরে। সর্বশেষে ১৯৯১ সালে সমাজতান্ত্রিক আলবেনিয়ার পতন ঘটলো। ১৯৫৬ সালে মার্কসবাদ-লেনিনবাদ ও সমাজতন্ত্রের মূলনীতি বিসর্জন দিয়ে সংশোধনবাদের ফলে সোভিয়েত রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপে ঘটে পুঁজিবাদের পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
ক্রুশ্চেভ-ব্রেজনেভ-গর্বাচভ চক্রের নেতৃত্বে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত নগ্ন পরিণতি ঘটে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত রাশিয়ার পরাশক্তি হিসাবে পতনের মধ্য দিয়ে।
বিশ্ব কমিউনিষ্ট আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলন নানা আঁকাবাঁকা পথে নানা বিপর্যয়ের মধ্যদিয়ে পার হলেও আন্দোলন থেমে থাকেনি। সাময়িক ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে বিশ্বের শ্রমিকশ্রেণী দেশে দেশে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বিপ্লবের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।
মে দিবসের বিপ্লবী তাৎপর্য ও শিক্ষা তাই আজও অম্লান। এই শিক্ষাকে সামনে রেখে অর্জিত অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়ে আজ আমাদের অগ্রসর হতে হবে। শ্রমিকশ্রেণীর ধারাবাহিক সংগ্রামের ফলে মে দিবস আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়ে দেশে দেশে প্রতি বছর পালিত হচ্ছে।
শ্রমিক, শ্রমিকশ্রেণি এবং শ্রমিকশ্রেণির মতাদর্শের রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও ফেডারেশন হিসাবে আমাদের সংগঠন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনকে মে দিবস পালন করে মে দিবসের বৈপ্লবিক তাৎপর্য তুলে ধরতে হবে।
শ্রমিকশ্রেণীর নেতৃত্বে শ্রমিক-কৃষক মৈত্রীর ভিত্তিতে সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদের অবশেষ ও লগ্নি পুঁজি বিরোধী জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব সফল করার লক্ষ্যে সমাজতন্ত্র, কমিউনিজম প্রতিষ্ঠার সুমহান লক্ষ্যে সংগ্রামের দ্বীপ্ত শপথ গ্রহণ করতে হবে।
কিন্তু আজ সাম্রাজ্যবাদ ও তাদের দালাল শাসক-শোষকগোষ্ঠী রং বেরং এর দল, এনজিওসহ বিভিন্ন প্রতিক্রিয়াশীল সংগঠনও মে দিবস পালন করে। তবে তা করে মে দিবসের বৈপ্লবিক তাৎপর্য আড়াল করে শ্রমিকশ্রেণিকে বিভ্রান্ত ও বিপথগামী করে বিপ্লবের পথ থেকে দুরে সরিয়ে শোষণমুলক সমাজব্যবস্থা ও রাষ্ট্রকাঠামো টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে। এই প্রতিক্রিয়াশীল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে তারা শ্রমিক আন্দোলনকে অর্থনীতিবাদী, সংস্কারবাদী ধারায় আবদ্ধ রেখে শ্রেণি সমন্বয়ের পতাকা তুলে ধরে।
মে দিবসকে নিছক ছুটি উপভোগের আনুষ্ঠানিকতায় আটকে রাখার সাম্রাজ্যবাদ ও তাদের দালালদের এই অপতৎপরতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আমাদের তুলে ধরতে হবে মে দিবসের বৈপ্লবিক তাৎপর্যের পতাকা।
#
Syed Amiruzzaman
Liberation War researcher, journalist and columnist;
Special Correspondent, Weekly News;
Editor, RP News;
Member of the Editorial Board, Workers' Party of Bangladesh, Moulvibazar District;
Organizer of the great mass uprising of '90 and former central committee member, Bangladesh Chhatra Maitri.
Former Central Committee Member, Bangladesh Agricultural Workers Union.
General Secretary, National Committee for Compensation for Magurchara Gas Resources and Environmental Destruction.
Former President, Bangladesh Law Students Federation.
