“আমার স্বামী ও তার ভাই আগেও বিয়ে করেছিল। তাদের দুজনের স্ত্রী একসাথে বাসা ছেড়ে চলে যায়। একজন না হয় যেতে পারে, কিন্তু দুজনই কেন? নিশ্চয়ই আমার শ্বশুর তাদের সাথেও এমন কিছু করেছে।
আমার শ্বশুর বিভিন্ন সময়ে আমাকে জড়িয়ে ধরতো। যখন স্বামীকে জানালাম, সে উল্টো আমাকে মা*রধর করলো। মাকে জানালাম, মা বিশ্বাস করলেন, কিন্তু সংসার ভাঙবে বলে আমাকে আবার সেই বাসায় পাঠিয়ে দিলেন। যাদের কাছেই বলেছি, কেউ বিশ্বাস করেনি।
হয়তো কোনো এক রাতে আমার কপালেও আমার বোনের মতোই এমন কিছু ঘটতো…
পুরো পরিবার আমার শ্বশুরের এই চরিত্রের কথা জানে, তবু সবাই মিলে ধামাচাপা দিতে সাহায্য করতো।
রাতের খাবার খেয়ে আমি, বোন ও আমার স্বামী ঘুমিয়ে পড়ি। আমার স্বামী নাকি দরজা খুলে দেয় এবং বাইরে তুলে নিয়ে এই কাজ ঘটেছে। ঘরের ভেতর ঘটলে তো আমি একটু হলেও টের পেতাম।
আমার ছোট বোন বলেছে – আমার স্বামী ও শাশুড়ি দুজনেই দেখেছেন, আমার শ্বশুর কীভাবে আমার ছোট বোনের ওপর নির্মম অ*ত্যাচার চালিয়েছে। কিন্তু তারা কিছুই বলেনি!
আমি যখন আমার বোনকে পেলাম, সে তখন ফ্লোরে পড়ে ছিল। আমাকে বললো, ‘আপু, খুব কষ্ট হচ্ছে…’
আমি ভাবলাম হয়তো ঠাণ্ডা লেগেছে… আমি বুঝতেই পারিনি কী ভয়ংকর কিছু ঘটে গেছে!
বোন যখন আমাকে জানালো, আমার শ্বশুর তাকে ধ*র্ষণ করেছে। আমি আমার স্বামীকে বললাম, ‘তোমার বাবা আমার বোনের সঙ্গে এমন করেছে। এর আগেও আমার সঙ্গে করার চেষ্টা করেছিল। আমি কী আমার বাবা-মাকে ফোন করে জানাবো?
এ কথা শুনে আমার স্বামী রেগে গিয়ে আমাকে প্রচণ্ড মা*রধর করলো এবং দরজা বন্ধ করে দিলো। পুরো পরিবার মিলে আমাকে হু*মকি দিল— ‘তোর বোনকে মে*রে ফেলবো!’
সকাল বেলা দরজা খোলা হলে দেখি, আমার ছোট বোনের মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে, গলায় আ*ঘাতের চিহ্ন… ও ছটফট করছে!
ওরা সবাই মিলে আমার বোনকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। হয়তো আশপাশের মানুষজন এসে যাওয়ায় মারতে পারেনি।
আমার শাশুড়ি মেয়ে মানুষ হয়েও আমাদের কষ্টটা বুঝেনি। সেও তাদেরকে সহযোগীতা করেছে। আমি সবার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’
এখানে বলে রাখা ভালো, এরা শিশুটিকে জ্বীনে ধরেছে বলে, এলাকার কবিরাজের কাছে নিয়ে যায়। কবিরাজ জানায় এটি মোটেও জ্বীনের কাজ না। কী হয়েছে সত্য বলেন।
এদিকে ডাক্তারেরা জানিয়েছে শিশুটির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুব কম।
এবার আপ্নারাই বলেন! এই শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী! এই পুরো পরিবার বেঁচে থাকার যোগ্য?
মোহাম্মদ মেহেদি