Satyajit Das (Moulvibazar Correspondent):
মৌলভীবাজার জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী সুজন মিয়া হত্যা মামলার তদন্তে এক বড় অগ্রগতি এসেছে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯ ও র্যাব-৭ এর যৌথ অভিযানে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকা থেকে মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত কিশোর অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত কিশোরের নাম মো. সালমান মিয়া (১৭),পিতা- আলী হোসেন,ঠিকানা- উত্তর মূলাইম, মৌলভীবাজার সদর। তাকে ১৩ মে,মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানাধীন জামাল পাড়া এলাকা থেকে আটক করা হয়।
র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে. এম. শাহজুল ইসলাম সোহাগ জানান, এটি ছিল একটি ক্লুলেস (অবশেষহীন) হত্যাকাণ্ড। ঘটনার পর থেকেই র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় এবং তথ্য প্রযুক্তি ও মাঠ পর্যায়ের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সালমানকে শনাক্ত করে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় ৬ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ রাতে, মৌলভীবাজার শহরের পশ্চিম পাশে ফুচকা-চটপটির এক দোকানের পাশে। আইনজীবী সুজন মিয়া বন্ধুদের সঙ্গে বসে ছিলেন। হঠাৎ কয়েকজন অজ্ঞাতনামা কিশোর সেখানে গিয়ে সুজন মিয়াকে চেয়ার থেকে ধাক্কা মারে এবং কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার বাম কাঁধ ও বুকের পাশে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সুজন মিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর নিহতের ভাই বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা (মামলা নং-১৫, তারিখ-০৮/০৪/২০২৫,ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড) দায়ের করেন। এরপর থেকেই র্যাব তদন্তে নামে এবং অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
গ্রেফতারকৃত কিশোর অপরাধীকে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। র্যাব জানিয়েছে,মামলার অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে তাদের গোয়েন্দা অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
র্যাব জানায়,দেশ থেকে সহিংসতা,সন্ত্রাস ও অপরাধ নির্মূলে বাহিনীর প্রতিটি সদস্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধভাবে কাজ করছে,যেন সাধারণ মানুষের জন্য একটি নিরাপদ,সহনীয় ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হয়।