Satyajit Das (Moulvibazar Correspondent):
মৌলভীবাজারে তিনটি ওষুধ কোম্পানির ডিপোতে সংঘটিত সশস্ত্র ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের মূল হোতা শামীম আহমেদসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোটরসাইকেল ব্যবহার করে চক্রটি এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ঘুরে একই পদ্ধতিতে তালা ভেঙে প্রবেশ করে এবং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি চালাত।
পুলিশ জানায়,গ্রেফতারকৃত শামীম আহমেদ (৪৫) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের মৃত সিরাজ আলীর ছেলে। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর ২২ মে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।
তিনটি ঘটনায়ই একই ধরণের কৌশল অনুসরণ করা হয়:গভীর রাতে ডিপোতে তালা কেটে প্রবেশ, অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থ লুট।
৩ ফেব্রুয়ারি: একমি ফার্মার ডিপো থেকে ৪৮ হাজার টাকা
২৩ ফেব্রুয়ারি: বেক্সিমকো ফার্মার ডিপো থেকে ৬৮ লাখ টাকা
১০ মে: ওরিয়ন ফার্মার ডিপো থেকে ৮ লাখ টাকা
তিনটি ঘটনার পর মৌলভীবাজার সদর থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়।
প্রথম ঘটনার পরই মৌলভীবাজার সদর থানা তৎপর হয়ে ওঠে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোঃ আজমল হোসেনের নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ গাজী মো. মাহবুবুর রহমানসহ একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়।
সিসিটিভি ফুটেজ,গোপন সূত্র এবং প্রযুক্তির সহায়তায় গত ১৭ মে রাতে হবিগঞ্জের বাহুবলের পশ্চিম ভাদেশ্বর গ্রামে অভিযান চালিয়ে মূল হোতা শামীম আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে তার সহযোগী মুকিত মিয়াকেও আটক করা হয়।
শামীমের হেফাজত থেকে ডাকাতির টাকায় কেনা একটি নোয়া মাইক্রোবাস,ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পালসার মোটরসাইকেল,কেডস,ইলেকট্রিক কাটার ও হেক্সাব্লেড জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়,এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সিলেট অঞ্চলে সক্রিয়। তিন বছর আগে সিলেটের ওসমানীনগরে একটি এটিএম বুথ ভাঙার ঘটনায়ও ঢাকা থেকে শামীমকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
মৌলভীবাজার সদর থানার ওসি গাজী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন,“প্রথম ঘটনার পর থেকেই আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে ধাপে ধাপে তদন্ত করি। এখনো চক্রটির অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।”