Staff Correspondent:
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর ডিজি কর্তৃক সাক্ষরিত এক নির্দেশনায় গত ১৩ এপ্রিল ইসায়ী তারিখে সারাদেশের সকল মসজিদে একই সময়ে পবিত্র জুমায়ার নামাজ আদায়ের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারী করা হয়।উক্ত নির্দেশনা জারির প্রতিবাদে গত ১৫ই এপ্রিল ২৫ ঈসায়ী তারিখে মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ গবেষনা কেন্দ্রের সম্মানিত মুফতী আবুল খায়ের মুহম্মদ আযীযুল্লাহ’র পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি এডভোকেট মুহম্মদ মেজবাহ উদ্দীন চৌধুরী রেজিস্টার্ড ডাকযোগে ইফা ডিজি বরাবর একটি আইনী নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে বলা হয়েছে- ইফা’র ডিজির পক্ষ থেকে নির্দেশনা দিয়ে সারাদেশের সকল মসজিদে পবিত্র জুময়ার নামাজ দুপুর দেড়টায় আদায়ের জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়-পবিত্র জুমুয়ার নামাজে প্রত্যেক র্ধমপ্রান মুসলমানগণ অংশ গ্রহণ করেন এবং উক্ত দিন সরকারী ছুটি থাকায় সাধারনত প্রত্যেকে তাহার বাসায় অবস্থান করেন এবং স্থানীয় ভাবে মহল্লার মসজিদে জুমুয়ার নামাজ আদায়ে করেন। সেহেতু নামাজের সময়ের বিষয়ে প্রত্যেকে অবগত থাকেন, ফলে নামাজের সময়ের বিষয়ে কোন প্রকার বিভ্রান্তি থাকে না।নোটিশে আরো বলা হয়েছে- ইসলামী শরিয়তে প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজে জন্য সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে এবং ওয়াক্তমত নামাজ পড়লে নামাজ আদায় হয়ে যাবে,সেহেতু নামাজ আদায়ের জন্য প্রত্যেক এলাকায় তাহাদের সুবিধামত সময়ে নামাজ আদায় করবেন এটাই স্বাভাবিক। আর ইসলামী শরীয়তে কাউকে বাধ্য করার সুযোগ না থাকায় আপনার উক্ত নোটিশ শরিয়ত সম্মত না হওয়ায় আপনার উক্ত বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার যোগ্য।
নোটিশে আরো জানানো হয়েছে-বাংলাদেশের মুসলমান জনগোষ্ঠি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বক্তব্য সমূহ মানিয়া চলার চেষ্টা করেন, এমন একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকিয়া আপনার উক্ত বক্তব্য সমাজে মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হইবে বিধায় আপনার উক্ত বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার যোগ্য। অতএব নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনী কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য উচ্চ আদালতে রিট দায়েরসহ যথাযথ আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।