Maruf Sarkar, reporter:
সাভার থেকে ফারজানা নামে এক নারীকে অপহরণ ও নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। গর্ভবতী নারীকে অপহরণ ও হত্যার নেপথ্যে মিরপুরের চিহ্নিত অপরাধী আসলাম গাজী থাকার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেলে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শফিউল আলম বলেন, ফারজানা নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, আসলামের নির্দেশেই সাভার থেকে গর্ভবতী ও এক সন্তানের জননী ফরজানাকে অপহরণ করে এনে পল্লবীর বাউনিয়াবাদ এলাকার একটি বাসায় আটকে রাখা হয়। সেখানেই দু’দিন ধরে চলতে থাকে পাশবিক নির্যাতন যার পরিণতিতে ফরজানার মৃত্যু হয়।
সূত্রে জানা যায়, ফরজানা নামের ওই নারী আগে থেকেই গর্ভবতী ছিলেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে আনা হয় এবং আসলাম গাজীর নির্দেশে তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা তার ওপর নির্যাতন চালায়। ঘটনা সংঘটনের দুই দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনায় নিহত ফরজানার পরিবারের পক্ষ থেকে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আসলাম গাজীর সংশ্লিষ্টতার বিষয় জানতে চাইলে ওসি বলেন, এমনটা শোনা যাচ্ছে। এই বিষয় এজাহার দেখে বিস্তারিত বলতে পারবো।
অভিযুক্ত আসলাম গাজী বহু বছর ধরেই বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। তার বিরুদ্ধে রয়েছে চাঁদাবাজি, জমি দখল, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা এবং খুনের অভিযোগ। ফরজানার হত্যাকাণ্ড তার অপরাধচক্রের আরও একটি অধ্যায়।
রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী ও আশেপাশের এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত নাম আসলাম গাজী। পল্লবীর চাঞ্চল্যকর রফিক হত্যার সঙ্গেও তার সংশ্লিষ্টতার কথা শোনা যায়, তবে অদৃশ্য শক্তির কারণে মামলায় তার নাম আসে নি। আসলাম জমি দখল, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। স্থানীয়দের মতে, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় সে গড়ে তুলেছে একটি অপরাধ সাম্রাজ্য।