Kamalganj (Moulvibazar) Representative:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে কিয়াম উদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের মধ্যভাগ গ্রামে রজব আলী গংদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কিয়াম উদ্দিন গংদের দীর্ঘদিন ধরে ৯৭ শতক ভূমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এই ভূমি রজব আলী গংরা মৌরসী সূত্রে ভোগদখলে ছিলেন বলে দাবি করেন।
বিরোধ চলাকালে কিয়াম উদ্দিন গংরা জোরপূর্বক জমিতে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ শুরু করলে রজব আলীর পরিবার বাধা দেয়। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন রজব আলীর পরিবারের সদস্যদের মারধর করে বলেও অভিযোগ করা হয়।
এই ঘটনায় রজব আলী কমলগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে স্বত্ব মোকদ্দমা নং ১৫২/২৪ দায়ের করেন। আদালত ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর ‘স্থিতাবস্থা বজায় রাখার’ নির্দেশ প্রদান করেন এবং এই আদেশ কার্যকর করতে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
পরে কমলগঞ্জ থানার এএসআই রেজাউল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাল নিশান (লাল জান্ডা) টাঙিয়ে উভয় পক্ষকে বিরোধপূর্ণ জমিতে যাওয়া এবং কোনো কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন।
তবে অভিযোগ রয়েছে, সম্প্রতি রাতের অন্ধকারে কিয়াম উদ্দিন গংরা আদালতের আদেশ অমান্য করে সেখানে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জায়গাটিতে ইট, বালু মজুদ রয়েছে এবং কিছু শ্রমিক নির্মাণকাজে নিয়োজিত।
ভুক্তভোগী রজব আলী বলেন, “আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তারা এক সপ্তাহ ধরে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমি ও আমার পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
স্থানীয় প্রতিবেশী আয়ুব আলী ও উমর মিয়া জানান, “রাতের বেলায় কিয়াম উদ্দিন ও আমান উদ্দিন গংরা স্থানীয় রাজমিস্ত্রী রুবেলসহ কিছু লোকজন নিয়ে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।”
অভিযোগ অস্বীকার করে কিয়াম উদ্দিন বলেন, “আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি আদালতের কোনো আদেশ অমান্য করিনি।”
তবে তার স্ত্রী জহুরুন বিবি বলেন, “আমরা আমাদের নিজস্ব জায়গায় ঘর নির্মাণ করছি। আদালতের আদেশ কী বলেছে, সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। কাজ চলবে।”
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শামীম আকনজি বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”