নিজস্ব প্রতিনিধি: যশোরের শার্শায় জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ২ লক্ষ্য ৩০ হাজার টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরো ৪/৫ অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি এজাহার দায়ের করেছেন হারুন মোড়ল নামে এক ভুক্তভোগী। তিনি শার্শা উপজেলার ৭ নম্বর কায়বা ইউনিয়নের রাড়িপুকুর গ্রামের মৃত সুখচাঁন মোড়লের ছেলে।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের বাগুড়ী গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে (১) আশিকুজ্জামান আশিক (২) করিম মিস্ত্রির ছেলে টুটুল (৩) লুৎফারের ছেলে মান্না হোসেন (৪) মৃত ফরির আহম্মেদের ছেলে নজিবুল্লাহ (৫) মৃত চাঁদ আলীর ছেলে চটা সিরাজ (৬) আলাউদ্দিনের ছেলে লিটন হোসেন (৭) মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কাওসার আলী।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ইংরেজি ২৮/১২/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ছয়টার সময় ভুক্তভোগী হারুন মোড়ল শার্শা থানাধীন বাগুড়ী বেলতলা বাজারস্থ রফিকের চায়ের দোকানে বসে ছিল। এসময় ৪ নং আসামি নজিবুল্লাহ হারুন মোড়লের কাছে ফোন করে তার অবস্থান জানতে চাইলে হারুন বলেন আমি বেলতলা বাজারে রফিক ভাইয়ের চায়ের দোকানে বসে আছি। কিছুক্ষণ পর ১নং আাসামি আশিকুজ্জামান আশিকসহ উল্লিখিত আসামিগণ ও অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন আাসামি ৮ থেকে ১০ টি মোটরসাইকেল যোগে উক্ত স্থানে এসে হারুন মোড়লকে জোর পূর্বক বাগআঁচড়া বাজারস্থ বিএনপির দলীয় অফিসে তুলে নিয়ে যায়। পরে ১নং আসামির নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিরা হারুনকে এলোপাতাড়ি চড়, কিল, ঘুষি, ও লাথি মারতে থাকে। এসময় ০১নং আাসামি আশিকুজ্জামান আশিক হারুনের নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এবং উক্ত চাঁদার টাকা না দিলে তাকে খুন করার হুমকিও দেওয়া হয়। প্রাণের ভয়ে ধারদেনা করে ৪নং আাসামি নজিবুল্লাহকে প্রথমে নগদ ১ লক্ষ্য চাঁদার টাকা দেন হারুন মোড়ল। এবং বিশ দিনের মধ্যে বাকি ৪ লক্ষ্য চাঁদার টাকা দিতে হবে এই মর্মে হারুনকে ছেড়ে দেন আসামিরা। পরবর্তীতে গত ইংরেজি ১৮/০১/২০২৫ তারিখে চাঁদার টাকা বাবদ অভিযুক্তদের আরো ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেন হারুন মোড়ল। পরবর্তীতে অভিযুক্তরা বাকি চাঁদার টাকা জন্য প্রতিনিয়ত হারুন মোড়লকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। যে কারণে জিবনের ভয়ে ভুক্তভোগী হারুন মোড়ল ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ কে আসামি করে শার্শা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম এজাহারে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।