(জয়পুরহাট) প্রতিনিধি-
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে চাঁদাবাজী, থানায় হামলা ও ভাঙচুরে অভিযুক্ত উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আশিক পার্থ এর পিতা মাইনুর রহমান শুক্রবার ২১ মার্চ সকাল ১১ টায় ক্ষেতলাল প্রেস ক্লাবে জোনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পতনের পর ছাত্র জনতা ক্ষেতলাল থান ও ইউএনও অফিস ভাঙচুর ও ভস্মিভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমিও আমার ছেলে তা বাস্তবায়ন হতে দিইনি, আমার ছেলে মেহেদী আশিক পার্থ বিগত ১৭ বছর যাবৎ বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। ফ্যাসীবাদী সরকারের সময় আমার পরিবার জেল জুলুম, নির্যাতন সহ নানা রকম নিপীড়ন সহ্য করেছি। আমার ছেলে একজন সফল রাজনীতিবিদ, অতীতে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির কোন রেকর্ড নেই। আমার ছেলের সফলতার ঈর্ষান্বিত হয়ে একই দলের কিছু স্বার্থন্বেষী মহল আমার ছেলেকে বিতর্কিত করতে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এক যুগে অসত্য তথ্য প্রকাশ করেছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে গত ১৮ ই মার্চ মঙ্গলবার সরূপ মোহন্তের চায়ের দোকানে চা খাওয়া নিয়ে জনৈক সালাম ,তোফাজ্জল ও বগুড়া থেকে আসা ২ সহযোগীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এ সময় আমার ছেলে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আমার ছেলের অভিযোগে থানা পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে গেলেও আটককৃত ব্যক্তিরা উল্টো আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভাবে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনে। একথা শোনার পর আমার ছেলে ও তার অনুসারীরা তার মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবিতে থানা মূল ফটকের বাইরে রাস্তায় বসে পড়ে। এবং অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কিন্তু আমার ছেলেও তার অনুসারিরা থানার ভিতরে প্রবেশ করে থানা ভাঙচুর, কাউকে লাঞ্ছিত অথবা আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেনি। তবে একজন পুলিশ কনস্টেবল মোবাইলে ভিডিও ধারণ করলে আমার ছেলে ভিডিও ধারণ করা থেকে বিরত থাকার জন্য ওই পুলিশ সদস্যকে অনুরোধ জানান। ইতিমধ্যে উৎসুক জনতা থানা গেটে এসে ভিড় জমায়, আর এই উৎসুক জনতাকে আমার ছেলের অনুসারী বিএনপির লোকজন ভেবে ওসি মহোদয় সেনা ক্যাম্পে খবর দেন। প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে আমার ছেলের রাজনৈতিক একই দলের একটি স্বার্থন্বেষী মহল পুলিশ প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে আমার ছেলেকে প্রধান আসামি করে চাঁদাবাজী ও থানায় হামলা ভাঙচুর শিরোনামে পৃথক দুটি মামলা করায় আমি হতবাক হয়েছি।আমি অবিলম্বে আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
এ সময়ে স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিপুল সংখ্যক সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।