জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
জয়পুরহাট সদর থানায় চাঞ্চল্যকর দস্যুতা মামলার প্রধান আসামি মো. আক্তার হোসেন ওরফে আক্তার আলম (৫০)–কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫ এর সিপিসি-৩ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল। তিনি জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার শালুকডুবি গ্রামের বাসিন্দা ও মো. নাজিমউদ্দিনের ছেলে।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে র্যাব-৫ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২ মে ২০২৫ তারিখ রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার হাতিল বুলুপাড়া এলাকায় মুখোশধারী দস্যুরা একটি পরিকল্পিত ফাঁদ তৈরি করে। ব্যবসায়িক কাজে বের হওয়া স্থানীয় বাসিন্দা মো. মোশারফ হোসেন পলাশ (৩৫) মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে ওই ফাঁদে পড়েন। মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে দস্যুরা বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করে তাকে থামিয়ে দেয় এবং মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নেয়।
সেই রাতেই ওই এলাকায় আরও দুটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। মোট তিনটি মোটরসাইকেল ও ৩,৫০০ টাকা লুট করে দস্যুরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী মোশারফ হোসেনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ৩০ মে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা রুজু হয় (মামলা নম্বর-৪৯/২৫, ধারা ৩৯৪ পেনাল কোড)।
মামলার তদন্তে প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে র্যাব-৫ অভিযানে নামে এবং দস্যুদলের মূল হোতা হিসেবে আক্তার হোসেনকে শনাক্ত করে। এরপর ১৬ জুন রাত ১টা ৪৫ মিনিটে ক্ষেতলাল থানার শালবন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামিকে যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জয়পুরহাট সদর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।