মনির হোসেন, বেনাপোল:
যশোরের শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সিরাজকে সিরাজগঞ্জ থেকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (৬ জুলাই) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এখনও পলাতক রয়েছেন মামলার প্রধান আসামি আব্দুল্লাহ ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী আমজেদ আলী।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১ জুলাই কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামে তিন ব্যক্তি মিলে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগীর অভিযোগ অনুযায়ী, আব্দুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। প্রতিবাদ জানানোয় ক্ষিপ্ত হয়ে এ বর্বরতা চালানো হয়।
ঘটনার পরপরই স্থানীয়ভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়। কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হোসেন ও আকবর আলীর নেতৃত্বে একটি গ্রাম্য সালিশ বসে। অভিযোগ রয়েছে, সেখানে অভিযুক্তদের মারধর করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। তবে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হোসেন এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এলাকাবাসীর অনুরোধে সালিশে বসেছিলেন মাত্র।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি এ সালিশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং বিষয়টি পুলিশের দৃষ্টিগোচরে আনেন। এরপর পুলিশ মামলা গ্রহণ করে এবং অভিযান শুরু করে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম রবিউল ইসলাম জানান, “আমরা অভিযুক্ত সিরাজকে সিরাজগঞ্জ থেকে আটক করেছি। তিনি ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি দুই আসামি আব্দুল্লাহ ও আমজেদ আলীকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
এ ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।