Shahjahan Ali Manon, Saidpur (Nilphamari) Representative:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে একটা চিহ্নিত দেহ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে একজন দালালসহ ৫ জন পতিতাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় উপশহর ঢেলাপীর উত্তরা আবাসন সংলগ্ন পুলপাড়া এলাকায়।
আটকরা হলো, খুলনার দিঘলিয়া নুরনগর বিশ্বাসপাড়ার মিলন হাওলাদারের মেয়ে ও রফিকুল ইসলামের স্ত্রী তানিয়া আক্তার (২৫), দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের পূর্বপাড়ার আফসার আলীর মেয়ে সুলতানা বেগম (৩০), চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বয়রা শেখের মোড় এলাকার মনির খানের মেয়ে ও কাওসারের স্ত্রী বৃষ্টি বেগম (২১), ঢাকার যাত্রাবাড়ী কাজলা স্কুলের গলি এলাকার মৃত রাকিবের মেয়ে রিনা আক্তার (১৯), বাগেরহাটের স্মরণখোলা মধ্য বানিয়াখালী ১ নং ওয়ার্ডের কালাম হাওলাদারের মেয়ে ও ইয়াকুব হাওলাদারের স্ত্রী সুমি বেগম ওরফে শিউলি (৩০) এবং তাদের দালাল বরিশালের গৌরনদী বাঙ্গিলা এলাকার কবির সরদারের ছেলে কাওসার সরদার (২৪)।
জানা যায়, ওই এলাকার বুলবুল নামে এক ব্যাক্তি তার বাসায় পতিতা এনে প্রকাশ্যেই দেহ ব্যবসা চালাচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে। তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাসহ এলাকার লোকজন বার বার নিষেধ করা সত্বেও দেদারসে এই অবৈধ কারবার অব্যাহত রেখেছে।
কয়েকজন আওয়ামী ঘরানার ব্যক্তির সহযোগিতায় পুলিশ ও মিডিয়াকে ম্যানেজ করে এমন নোংরা কাজ চলার ফলে এলাকার পরিবেশ চরমভাবে নষ্ট হয়ে পড়েছে। এতে এলাকার সচেতন মানুষের মাঝে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এলাকাবাসী প্রশাসনকে অভিযোগ দেয়।
কিন্তু তারপরও কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় বাধ্য হয়ে নিজেরাই এই অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে উদ্যোগ নেয়। সে অনুযায়ী সকলে সমবেত হয়ে সোমবার রাত সাড়ে ১২ টায় ৫ জন পতিতাসহ একজন দালালকে হাতনাতে আটক করে। যা মুহুর্তে ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছালে তাদের হাতে আটকদের সোপর্দ করা হয়।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) নয়ন রায় বলেন, অফিসার ইনচার্জ ফইম উদ্দিনের তদারকিতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কাজের অভিযোগে ৫ জনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ২৯০ ধারায় মামলা দায়ের করে গ্রেফতার দেখিয়ে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর ফেসবুকে প্রচার হয় যে, ৪ জন পতিতা ও ৪ জন খদ্দেরকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু থানায় ৫ জন নারী ও একজন পুরুষকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এনিয়ে অভিযোগ উঠেছে যে, খদ্দের ৩ জনকে স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজনের মধ্যস্থতায় পুলিশ কৌশলে ছেড়ে দিয়েছে। এবিষয়ে তদন্তের দাবী জানিয়েছে সচেতন মহল।