নেত্রকোণার মদনে কাবিখা প্রকল্পে হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজন নিয়মিত মনিটরিং না করার কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে সচেতন মহলের অভিমত।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কাবিখা প্রকল্পের আওয়াতায় উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের পদারকোনা বেড়িবাধঁ হতে আঃ শহিদের জমি পর্যন্ত রাস্তা পূর্ণ:নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ২০৪-২৫ অর্থ বছরে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ পায়। প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য সোহেল মিয়া নাম মাত্র কাজ করে সব অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এ নিয়ে এলাকার সচেতন মহল প্রতিবাদ করলে আর কোন কাজ করবে না বলে হুমকি দেয় ইউপি সদস্য সোহেল মিয়া ও প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক রহিছ মিয়া।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার প্রকল্প এলাকায় গেলে, ১০ /১২ হাজার টাকা মাটি কাটার দৃশ্য পাওয়া যায়। তবে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্প এলাকায় বরাদ্দের সাইন বোর্ড থাকার কথা থাকলেও কোন সাইন বোর্ড পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এ প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সরকার যে এ প্রকল্পের আওতায় কত টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। তাও আমরা জানি না। আমরা শুনেছি এখানে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার প্রকল্প। অথচ ১০ হাজার টাকা ব্যয় করেছে। কেউ প্রতিবাদ করলে প্রকল্প কমিটি তাদের হুমকি দেয়। তাই প্রকাশ্যে কেহ মুখ খোলতে সাহস পায় না। আমরা চাই কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সরজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। বিষয়টি ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসী প্রকল্প অফিসে বারবার গেলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয় নি।
প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক একে এম রহিছ উদ্দিন বলেন, আমি এখন বাসায় আছি। আপনাদের সাথে স্বাক্ষাতে কথা বলবো।
প্রকল্পের সভাপতি সোহেল মিয়া জানান, আমি কাজ করতে চাই। তবে প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রহিছ মিয়া আমাকে বলেন, যতটুকু মাটি কাটা হয়েছে। ততটুকুই হবে। কেউ যদি এ ব্যাপারে কথা বলে আমি বিষয়টি দেখব।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, এ প্রকল্পটি সরজমিনে পরিদর্শন করবো। প্রকল্পের অর্ধেক বিল পরিশোধ করা হয়েছে। অনিয়ম থাকলে বাকি বিল প্রদান করা হবে না।
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মাঘান ইউপির প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ জানান, আপনারা এসব প্রকল্প দেখেন। কাজ হচ্ছে কি না আমি প্রকল্পের সভাপতির সাথে এ ব্যাপারে কথা বলব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অলিদুজ্জামান জানান, এমন অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব হবে। অর্ধেক বিল এখনো বাকি রয়েছে তা আর দেয়া হবে না।