সদরপুর(ফরিদপুর)প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় শেফালী বেগম (৫০) নামের এক বিধবা নারীকে ধর্ষনের পর হত্যার অভিযোগ উঠে উপজেলার আকটেরচর ইউনিয়নের সাবেক এক ইউপি সদ্যসের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই ওই ইউপি সদস্য পলাতক ছিল।
শুক্রবার ( ২৫ এপ্রিল) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধর্ষন ও হত্যা মামলার প্রধান আসামী সাবেক ইউপি সদস্য মমরেজ খালাসী(৫০) কে র্যাব -১০ এর একটি অভিযানিক দল ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে গ্রেফতার করে সদরপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আজ শনিবার(২৬ এপ্রিল) আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোমরেজ খালাসী সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও খালাসী ডাঙ্গী গ্রামের মৃত লাল মিয়া খালাসীর পুত্র।
এলাকাবাসী ও মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ১৯শে এপ্রিল রাত ১১টার দিকে খালাসী ডাঙ্গী গ্রামের মোমরেজ খালাসী ও তার দুই সহযোগী রাতে শেফালীর বাড়িতে গিয়ে তার ঘরে আড্ডা দেয়। সর্ম্পকে শেফালী বেগম ওই মেম্বারের চাচাতো ভাবী। তাদের মধ্যে পরকীয়া সম্পুর্ক ছিলো বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
আড্ডার এক পর্যায়ে শেফালীকে রাত ১১টার দিকে ঘরের বাইরে নিয়ে বাড়ির পাশের একটি ভিটায় তাকে ধর্ষন করলে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। ওই অবস্থায় তাকে বাড়ির পাশে রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই নারীর ভাগ্নি মমরেজ কে দেখে ফেলে। অসুস্থ্য অবস্থায় ওই নারীকে সদরপুর উপজেলার বিশ্ব জাকের মঞ্জিল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ২০এপ্রিল রাত আড়াইটার দিকে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে।
এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে সদরপুর থানায় মমরেজ খালাসি কে প্রধান আসামী করে ধর্ষন ও হত্যা মামলা দায়ের করে। এ ঘটনার পর থেকে ওই ইউপি সদস্য পলাতক ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান বলেন, ধর্ষন ও হত্যা মামলার প্রধান আসামী মমরেজ খালাসীকে আটক করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Reporter
Md. Sheikh Chobahan