Humayun Kabir Miraj:
যশোরের শার্শায় ঈদকে সামনে রেখে প্রতারক চক্র নতুন কৌশলে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সহজ-সরল ও বিত্তবান গ্রামবাসীদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে এই চক্রটি।
সম্প্রতি উপজেলার কদবপুর মানিকআলী গ্রামে এমনই এক প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। ওই গ্রামের বাসিন্দা দলিল লেখক ফিরোজ আহমেদ জানান, ৬ মার্চ দুপুর ১টার দিকে একটি অচেনা নম্বর (01865799095) থেকে ফোন আসে। ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে বলা হয়, “আমরা প্রশাসনের লোক, আপনার ছেলে নাফিজ আহমেদ মাদকসহ ধরা পড়েছে এবং এখন আমাদের হেফাজতে রয়েছে।”
এমন সংবাদে হতভম্ব হয়ে ফিরোজ আহমেদ বলেন, “আমার ছেলের সাথে কথা বলতে চাই,” তখন প্রতারক চক্র এক কিশোরকে ফোন ধরিয়ে দেয়। কান্নাজড়িত কণ্ঠে সে বলে, “আব্বু, আমাকে বাঁচাও!” এরপর কলটি কেটে দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে প্রতারকরা ফের ফোন দিয়ে বলেন, “আপনার ছেলে ছোট, তাই আমরা তাকে চালান দিতে চাই না। ১৫ হাজার টাকা বিকাশে পাঠান, নয়তো তাকে মামলা দিয়ে চালান দেওয়া হবে।” তারা একটি বিকাশ নম্বর (01607 477621) দেন টাকা পাঠানোর জন্য।
কিন্তু সন্দেহ হওয়ায় ফিরোজ আহমেদ ছেলের স্কুলে যোগাযোগ করেন এবং জানতে পারেন তার ছেলে তখনও ক্লাসে আছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি প্রতারকদের সত্যতা যাচাই করতে চাইলে প্রতারক চক্র অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ফোন কেটে দেয়।
পরদিন তিনি প্রতারণার শিকার হওয়ার বিষয়ে শার্শা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত করে প্রতারক চক্রকে শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঈদকে সামনে রেখে প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে, তাই সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। কোনো অজানা নম্বর থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ দাবি করলে দ্রুত থানায় জানান।”
এমন প্রতারণার ফাঁদ থেকে রক্ষা পেতে সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।