পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঈদ উৎসব চলাকালীন যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ফর্মেশনের ইউনিটসমূহ মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছে।
গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন, টহল কার্যক্রম, জনবহুল এলাকায় উপস্থিতি বৃদ্ধি, এবং কোরবানির পশুর হাটে চাঁদাবাজি রোধে সেনাবাহিনীর টহল দল নিরলসভাবে কাজ করছে। এতে করে ঈদের কেনাকাটা, পশু বেচাকেনা ও যাতায়াত আরও নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল হয়েছে।
বিশেষ করে শহর থেকে গ্রামে ফেরা লাখো মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল, ট্রেন স্টেশন, ফেরিঘাট এবং প্রধান সংযোগ সড়কে নজরদারি ও তল্লাশি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। টিকিট কালোবাজারি রোধেও সেনাবাহিনী অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করে কাজ করছে।
আজ ঈদের দিনে দেশের বিভিন্ন বড় ঈদগাহ ময়দান—বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহসহ অন্যান্য মহানগর ও জেলা সদরে—ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে সেনাবাহিনী।
ত্যাগের উৎসবে দায়িত্বশীলতার দৃঢ় প্রতিচ্ছবি
ঈদ-উল-আযহা কেবল আনন্দ নয়, এটি ত্যাগের মহান শিক্ষা বহন করে। যখন দেশের কোটি মানুষ প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন, তখন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে, পাহাড়ে, দুর্গম এলাকায় ও বন্যাকবলিত জায়গায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। পরিবারের সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত হলেও তারা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করছেন।
এই আত্মনিবেদন ও নিষ্ঠাই সেনাবাহিনীর পেশাগত দায়িত্ববোধ এবং ঈদের চেতনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাদের এই নিরবিচার প্রয়াসের কারণেই দেশের সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারছে।
জনগণের প্রতি আহ্বান
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সচেষ্ট। কোনো ধরনের অপরাধ, বিশৃঙ্খলা বা সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডের তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্প অথবা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট জানাতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।