(Barisal) Representative
বাকেরগঞ্জের নিয়ামতি ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকা থেকে গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের ফয়েল পেপারসহ দুজনকে আটক করে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলো সোহাগ খান (২০) ও শাহারিয়া হাওলাদার (১৯)। অবশ্য থানার এস আই সোহেল দফারফার মাধ্যমে ঘটনাস্থল থেকেই মাদক ব্যবসায়ী সোহাগ খানকে ছেড়ে দেয়।
১১/৪/২০২৫ ইং শুক্রবার বিকেল ৫.৪৫ টায় উপজেলার বাংলাবাজারে এ ঘটনা ঘটেছে।
সুত্র জানায়, উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের বাংলা বাজারের শাহাদাত খানের পুত্র সোহাগ খান ও পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের শাকবুনিয়া গ্রামের জলিল হাওলাদারের পুত্র শাহারিয়া হাওলাদার নেশা করে মাতাল অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৫ টার সময় বাংলা বাজার কাঁচাবাজার এলাকা থেকে মোটরসাইকেলে থামিয়ে এস আই সোহেল তাদের দেহ তল্লাশি করে।এসময় তাদের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়। মাদকসহ দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাবার কথা থাকলেও ঘটনাস্থল থেকেই সে মাদক ব্যবসায়ী সোহাগ খানকে ছেড়ে দেয়।
পুলিশের ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলা বাজারের একাধিক ব্যক্তি জানান, বাংলাবাজার এলাকার শাহাদাত খানের পুত্র সোহাগ খান একজন চিহৃিত মাদক ব্যবসায়ী। ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে মাদকসহ আটক করলেও পুলিশের এস আই সোহেল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দফারফার মাধ্যমে সোহাগকে ছেড়ে দিয়েছে। তারা এ বিষয়ে তদন্ত করে মাদক ব্যবসায়ী সোহাগ খানকে পুলিশ কেন ছেড়ে দিয়েছে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত পুলিশের এস আই সোহেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুজনকে আটক করলেও তিনি একজনের কাছে গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের ফয়েল পেপার পাওয়ায় আরেকজনকে ছেড়ে দিয়েছেন। দুইজন মাতাল অবস্থায় ছিল একই বাইকে তাহলে একজনকে কেন ছেড়ে দিলেন সাংবাদিকরা এ প্রশ্ন করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, দুইজনকে আটক করলেও একজনের কাছে মাদক পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে এসেছে।
পুলিশ সুপার মোঃ শরিফ উদ্দিন বলেন, মাদকসহ গ্রেপ্তার করে কাউকে ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। থানার কোন অফিসার যদি এরকম ঘটনা ঘটায় তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।