Barisal Correspondent:
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পণ্য হচ্ছে আলু। মানুষের অতি প্রয়োজনীয় খাদ্যের চাহিদা মেটাতে আলু ছাড়া যেনো চলেই না। কিন্তু এই অতি গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা পূরণের প্রধান বাধা হচ্ছে ‘সিন্ডিকেট’।
অসাধু সিন্ডিকেটের চক্রান্তে উচ্চমূল্যের কারণে আলু প্রায়ই মানুষের ক্রয়-সীমার বাইরে চলে যায়। তখন খাদ্য-ঝুঁকিতে পড়ে স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষ।
আব্দুর রশীদ হাওলাদার ওরফে আলু রশীদ। বরিশাল বাকেরগঞ্জের ভরপাশা পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের বাসীন্দা তিনি। তার নামে সৃষ্টি হয়েছে ‘‘রশীদ-সিন্ডিকেট’’। এই সিন্ডিকেট বাকেরগঞ্জ উপজেলার পুরো আলু’র বাজার অশান্ত করে রেখেছে। অভিনব কৌশলে প্রায় দেড়যুগ ধরে আলুর বাজারের নিয়ন্ত্রন নিজের কব্জায় রেখে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ‘‘রশীদ সিন্ডিকেট’’। এই ‘‘রশীদ সিন্ডিকেট’’ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরমেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া-কে খুশি রেখে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে লুটপাট করেছে অবাধে। অধিকাংশরা আত্মগোপনে থাকলেও ফ্যাসিবাদের একাত্মা ‘‘রশীদ সিন্ডিকেট’’ এর প্রধান রশীদ হাওলাদার ওরফে আলু-রশীদ কোনো প্রকার ঝক্কিঝামেলা ছাড়াই এখনো সহিসালামতেই রয়েছে। বহালতবিয়তে থেকে অপকর্ম অব্যাহত রেখেছে এই ‘‘রশীদ সিন্ডিকেট’’।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, ‘‘রশীদ সিন্ডিকেট’’ এর সাথে আড়তদারদের রয়েছে বিশেষ সখ্যতা। এছাড়া স্থানীয় প্রভাবশালী, আড়তদার থেকে শুরু করে কুলি পর্যন্ত এই সিন্ডিকেটের সুবিধাভোগী সদস্য। অন্য কোনো ব্যবসায়ী আড়তদারদের নিকট হতে আলু ক্রয়ের সাথে সাথে নিজেদের সোর্সের মাধ্যমে খবর পেয়ে যায় এই ‘‘রশীদ সিন্ডিকেট’’। এরপর পরিকল্পণা অনুযায়ি, যাতে সঠিক সময়ে আলু নির্ধারিত স্থানে না পৌছতে পারে সেই কৌশল অবলম্বন করা হয়। এধরণের অভিনব কৌশলে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে অন্য উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের দমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার পুরো আলু’র বাজার ‘‘রশীদ সিন্ডিকেট’’ এর নিয়ন্ত্রনে রাখতে অন্য কাউকে এই ব্যবসায় জড়াতে দেওয়া হয়নি। বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা বড় ধরণের মূলধন নিয়ে আলুর ব্যবসা শুরু করলেও ‘‘রশীদ সিন্ডিকেট’’ এর চক্রান্তে লোকসান গুণে দেউলিয়া হয়ে গেছেন। এ সুযোগে মজুতদারিত্বের মাধ্যমে সংকট সৃষ্টি করে যখন যেমন খুশি তেমন দাম বাড়িয়ে কোটি কোটি টাকা লুটে নিয়েছে ‘‘রশীদ সিন্ডিকেট’’। পটপরিবর্তন হলেও এখনো থামেনি এই লুটেরাদের অপকর্ম।