তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে পাল্লা দিয়ে দেশে বাড়ছে অনলাইন সার্ভের ব্যবহার। ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলো এখন নানা বিষয়ে জনগণের মতামত জানার জন্য ডিজিটাল জরিপ বা অনলাইন সার্ভে ব্যবহার করছে।
সম্প্রতি একাধিক অনলাইন সার্ভে প্ল্যাটফর্মে দেখা গেছে, সামাজিক, রাজনৈতিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক বিষয়ে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ছে। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে মানুষ এখন ঘরে বসেই জরিপে অংশ নিচ্ছেন। এতে একদিকে যেমন জনমতের স্বচ্ছ প্রতিফলন পাওয়া যাচ্ছে, অন্যদিকে তা নীতিনির্ধারণেও সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে অনলাইন সার্ভে একটি কার্যকর মাধ্যম। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য উন্নয়ন, বাজার বিশ্লেষণ, এমনকি নির্বাচনী প্রস্তুতিতেও এই পদ্ধতি গুরুত্ব পাচ্ছে।
একটি জনপ্রিয় অনলাইন জরিপ প্ল্যাটফর্মের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে দেশে ৫ লক্ষাধিক মানুষ বিভিন্ন জরিপে অংশ নিয়েছেন। এতে সবচেয়ে বেশি মতামত এসেছে জীবনযাত্রার ব্যয়, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার মান এবং কর্মসংস্থান বিষয়ে।
তবে অনলাইন সার্ভের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। অনেক সময় যাচাই-বাছাই ছাড়া তথ্য গ্রহণ বা ভুল বিশ্লেষণের কারণে বিভ্রান্তির আশঙ্কাও থাকে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি গ্রহণযোগ্য অনলাইন সার্ভে পরিচালনার জন্য বিশ্বাসযোগ্য প্ল্যাটফর্ম, প্রশ্নের স্বচ্ছতা এবং নমুনা বাছাই প্রক্রিয়ার যথাযথতা নিশ্চিত করা জরুরি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, “ভবিষ্যতে নীতিনির্ধারণে অনলাইন সার্ভে থেকে প্রাপ্ত তথ্যকে আরও গুরুত্ব দেওয়া হবে। তবে এটি যেন ভুল তথ্যের উৎস না হয়, সেদিকেও নজর দিতে হবে।”
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী অনলাইন জরিপ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশেও ধীরে ধীরে এটি শক্তিশালী একটি ট্রেন্ডে পরিণত হচ্ছে।