মোঃ হারুন উর রশিদ,স্টাফ রিপোর্টার:
নীলফামারীতে প্রান্তিক কৃষকদের দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দিনব্যাপী পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৫জুন/২৫) দুপুরে সদর উপজেলা কৃষি অফিসের হলরুমে ‘প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার)’ প্রকল্পের আওতায় দিনব্যাপি এই কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. এস.এম আবু বকর সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম, পার্টনার এর রংপুর অঞ্চলের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার অশোক কুমার রায়, নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মোঃ জাকির হোসেন, জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আজিজুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কুমারেশ চন্দ্র গাছিসহ অনেকে।
সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আতিক আহমেদ জানান, উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের উন্নত প্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক চাষাবাদে উদ্ভুদ্ধ করতে কৃষক পার্টনার স্কুল গঠন করা হয়েছে। এসব স্কুলে কৃষকদের মাঝে উত্তম কৃষি চর্চা, ফল ও সবজি উৎপাদনে মানদন্ড নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন, উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উন্নয়ন এবং কৃষি উদ্যোক্তা তৈরির বিষয়ে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।
রংপুর অঞ্চলের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার অশোক কুমার বলেন, পার্টনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অর্থাৎ কৃষি মন্ত্রণালয়ের ইতিহাসে একটি সর্ববৃহৎ প্রকল্প। এটি বিশ্ব ব্যাংকের ঋণে সাত হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এছাড়াও আরও ইফাত, বিশ্ব ব্যাংক,বাংলাদেশ সরকারসহ কৃষি মন্ত্রণায়ের সমস্ত সংস্থা অর্থাৎ ১৭ টি দপ্তর ও সংস্থা সরাসরি ও পরোক্ষভাবে সহযোগীতা করছে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের কৃষিক্ষাতকে আমুল পরিবর্তণ এবং বাণিজ্যিক কৃষিতে রুপান্তর করা। এরজন্য এই ১৭ টি দপ্তর মোটা দাগে দশটি কাজের অগ্রাধিকার দিয়েছে। যার মধ্যে প্রথম কাজটি হলো উদ্দোম কৃষিচর্চার রুপ অনুশিলন। মানবজাতির ইতিহাসে নিরাপন খাদ্য সবসময় গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হয়ে আসছে। আমরা খাদ্য উৎপাদনে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছি কিন্তু আমার খাদ্য নিরাপদ কিনা তা কোন প্রোগ্রামে দেখাতে পারি না। এই প্রোগ্রাম না থাকার কারণে অনেকে সবজি,ফল আমরা বিদেশে রপ্তানি করতে পারিনা।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই পার্টনার প্রোগ্রামের মাধ্যমে উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে উদ্দোম কৃষিচর্চা অনুশিলন করবো। আগামী ৩ বছরে প্রায় ৩ লক্ষ হেক্টর জমিতে সবজি এবং ফল উদ্দোম কৃষিচর্চার মাধ্যমে উৎপাদিত হবে এবং দেশের বাজার থেকে আন্তর্জাতিক বাজারও আমরা ধরতে পারবো। সেই লক্ষেই কৃষি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কৃষক পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা ধানের অত্যাধুনিক কিছু জাত নিয়ে আসবো। সেই জাতগুলো আমরা সম্প্রসারিত করবো।
জেলা প্রশাসক নায়িরুজ্জামান বলেন, এই প্রকল্প সীমিত পর্যায়ে না এটি ব্যাপক আকারে করা প্রয়োজন এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে করতে হবে।পানি ও সারের ব্যাবস্থাপনা যেভাবে গ্রুপ করে করা হচ্ছে তাই মনে করি আমরা এই প্রকল্পের লক্ষে পৌছাতে পারবো। ইতোমধ্যেই আমার জেলায় পটল,আম সফলতার সাথে করতে পেরেছি।