মোঃ শাকিল হোসেন শওকত:
টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা তারেক শামস খান হিমু কে আজ ভোরে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নাগরপুর উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের মরহুম হুমায়ুন খানের ছেলে তারেক শামস খান হিমু (৬২)। তিনি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ সম্পাদক। তিনি গত ২০২৪ সালের পাতানো নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল মার্কা নিয়ে (নাগরপুর-দেলদুয়ার) টাঙ্গাইল ৬ আসন থেকে এমপি নির্বাচন করেছিলেন।
হিমুর বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীদের উপর হামলার ঘটনায়, নাগরপুর থানায় মামলা
দায়ের করেছিল ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা।
নাগরপুর থানায় ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে দায়েরকৃত ৭ নং ক্রমিকের মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি ছিলেন হিমু।
মামলাটি আইন-শৃঙ্খলা বিঘনকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন ২০১৯ ৪/৫, তৎসহ ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৫০৬(২) দঃবিঃ ধারায় দায়ের করা হয়েছিল।
দায়েরকৃত এ মামলায়, হিমু ৩ নং এজাহার নামীয় আসামি।
তিনি দীর্ঘদিন আমেরিকা বসবাসের পর আজ ভোরে দেশে ফিরলে, ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। পরবর্তীতে ইমিগ্রেশন পুলিশ, নাগরপুর থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। খবর পেয়ে আজ ভোরেই নাগরপুর থানা পুলিশ হিমুকে এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেফতার করে, থানায় নিয়ে আসে।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সকল মামলায় দীর্ঘদিনের পলাতক আসামি গ্রেফতারের বাংলাদেশ পুলিশ কৌশল অবলম্বন রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ১৪ জুলাই ভোররাতে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন পুলিশ আওয়ামী লীগ নেতা তারেক শামস খান হিমুকে এয়ারপোর্টেই আটক রেখে আমাদের খবর দিলে, আমরা দ্রুত বিমানবন্দরে গিয়ে আটককৃতের পরিচয় এবং মামলার এজাহার পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হয়ে হিমুকে গ্রেফতার করে নাগরপুর থানায় নিয়ে আসি। ১৪ জুলাই সোমবার সকালেই গ্রেফতারকৃত এজাহার নামীয় আসামি তারেক শামস খান হিমুকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।