নাজমুল হাসান রায়পুর(লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌর বিএনপির ৯নং ওয়ার্ডের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কেরোয়া সিরাজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য ও নির্বাচন সমন্বয়ক এডভোকেট হারুনুর রশিদ, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুর রহমান ভূঁইয়া, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক এবিএম জিলানী, সদস্য সচিব শফিকুল আলম আলমাস, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল জাহের মিয়াজি, ভুঁইয়া কামাল রায়হান, নজরুল ইসলাম লিটন (ভিপি লিটন), যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, আনিসুল হক, মুকুল পাটোয়ারী, উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক কাউছার মোল্লা, যুবনেতা নুরে হেলাল মামুনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
নির্বাচনের ফলাফল:
সভাপতি পদে মো. আসিফ ৪৬ ভোট পেলেও, ১৩৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন ফিরোজ আলম।
সাধারণ সম্পাদক পদে মো. কামাল হোসেন ১০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী ৭৯ ভোট পান।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. মানুদ ৭ ভোট, মো. হারুনুর রশিদ ২৭ ভোট, মো. মোখতার হোসেন ৪৬ ভোট পেলেও, ১০৭ ভোট পেয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন মো. শফিক।
নেতাদের প্রতিক্রিয়া:
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় পৌর বিএনপির আহ্বায়ক এবিএম জিলানী বলেন, “আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো”—এই নীতিতে আমরা নির্বাচন পরিচালনা করেছি। এটি আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ ভোট, যেখানে কোনো বিভেদ থাকা উচিত নয়। যারা বিজয়ী হয়েছেন, তারা দলের স্বার্থে কাজ করবেন, আর যারা পরাজিত হয়েছেন, তারাও ঐক্যবদ্ধ থেকে দলের জন্য কাজ করবেন।
তিনি আরও বলেন, “এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা গণতান্ত্রিক চর্চার উদাহরণ সৃষ্টি করেছি। জনগণ একদিন তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে। আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে দলের জন্য, ধানের শীষের জন্য, এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে একসঙ্গে কাজ করব।”
নির্বাচন পরবর্তী সময় নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা যায়। নতুন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও সমর্থন জানিয়ে তারা একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
নাজমুল হাসান