নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চলমান সংস্কার ও তা ঘিরে কর্মকর্তাদের আন্দোলনের বিষয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেছেন, এনবিআর-এ প্রয়োজনীয় সংস্কার আনা হয়েছে। তবে এতে কিছু বিষয় নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল ৫টায় অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে এনবিআর কর্মকর্তাদের বৈঠকের মাধ্যমে এই জটিলতা নিরসন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে ইয়ুথ পলিসি নেটওয়ার্ক আয়োজিত ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা ও ভ্যাট’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, “গতকাল পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা। তবে আন্দোলনের কারণে রাজস্ব আদায়ে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে।”
চলতি বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম বাজেটের আকার কমানো হয়েছে যাতে মানুষের ওপর করের চাপ না পড়ে। এই বাজেট সঞ্চয়ের প্রতিফলন।”
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, কর আদায়ের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে অটোমেশন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। গত বছর যেখানে অনলাইন রিটার্ন ছিল ৫ লাখ, সেখানে এবার তা বেড়ে ১৭ লাখে দাঁড়িয়েছে। আগামী অর্থবছর থেকে জুলাই থেকেই অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া যাবে।
তিনি আরও জানান, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো ও বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমেও আধুনিকায়ন আনা হয়েছে।
ভ্যাট ছাড়ের বিষয়ে বক্তব্য
আব্দুর রহমান খান বলেন, “ভোক্তারা সব সময় কর ছাড়ের সুবিধা পান না। গরীব মানুষের ওপর চাপ কমাতে বিস্কুটে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে বাজেটের সীমাবদ্ধতা থাকায় সব কিছু করা সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতে আরও ছাড় দেওয়া যেতে পারে।”
সেমিনারে ইয়ুথ পলিসি নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, পাউরুটি ও বিস্কুটের মতো নিত্যপণ্যে ভ্যাট পুরোপুরি তুলে নেওয়া হোক। কারণ এসব খাবার দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও তরুণ শিক্ষার্থীদের নিত্যভোজ্য পণ্যের মধ্যে পড়ে।