মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি :
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিন বন্ধ থাকবে দেশের সবচেয়ে বড় বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিসহ যাবতীয় কার্যক্রম। মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান।
তিনি জানান, ঈদ উপলক্ষে ৫ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে ১৪ জুন (শনিবার) পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম এবং কাস্টমস ও বন্দরের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে ১৫ জুন (রবিবার) সকাল থেকে পুনরায় বন্দর কার্যক্রম শুরু হবে।
৪ জুন (বুধবার) বিকেল থেকেই কার্যত পণ্য চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। এ সময় বন্দর, কাস্টমস ও ব্যবসায়ীদের অনেকেই ছুটিতে থাকবেন।
সরকারি আদেশ ও বাস্তবতা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ঈদের ছুটির মধ্যেও সীমিত আকারে চালু রাখার নির্দেশ দিলেও, বাস্তবে ব্যবসায়ীরা ছুটিতে থাকায় কার্যক্রম প্রায় বন্ধই থাকবে বলে মনে করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। ঈদের আগে-পরে ট্রাক চলাচল বন্ধ ও শ্রমিক সংকট থাকায় পণ্য ডেলিভারিও কার্যত হবে না।
বন্দরে পণ্যজটের শঙ্কা
বাংলাদেশে ১২টি স্থলবন্দরের মধ্যে রাজস্ব আয়ের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে বেনাপোল বন্দর। প্রতিদিন ভারত থেকে ৪০০-৪৫০ ট্রাক পণ্য আসে এই পথে, যার মাধ্যমে প্রতিবছর প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়। দীর্ঘ ছুটি শেষে পুনরায় কার্যক্রম শুরু হলে বড় ধরনের পণ্যজট সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি
বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. শামীম হোসেন জানিয়েছেন, ছুটির সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বন্দর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বন্দর নিরাপত্তা বাহিনী ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি বেনাপোল পোর্ট থানার সহযোগিতাও নেওয়া হয়েছে। কেউ যদি ছুটির মধ্যেও পণ্য খালাস নিতে চান, তাহলে খালাস দেওয়ার ব্যবস্থাও রাখা হবে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি রাসেল মিয়া ও ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইব্রাহিম আহমেদ জানিয়েছেন, ঈদের ছুটিতে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে। যাত্রীদের বাড়তি চাপ সামাল দিতে ইমিগ্রেশনে বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।