মানবতাবিরোধী অপরাধ ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মামলায় দুই অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে গ্রেপ্তার করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত সংস্থা। তবে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদা থেকে আটক এড়িয়ে রহস্যজনকভাবে পালিয়ে গেছেন ডিআইজি এহসানুল্লাহ। বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ সদর দপ্তর ও আইসিটির উচ্চপর্যায়।
পুলিশ ও আইসিটি সূত্র জানায়, র্যাবের আলোচিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনের সহযোগী সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউর রহমানকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইডি ঢাকা মেট্রো অফিস থেকে আইসিটির একটি দল গ্রেপ্তার করে।
অন্যদিকে, পুলিশের আরেকটি দল জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় উত্তরা গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে উত্তরা ডিভিশনের ডিএমপির সাবেক এডিসি সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ সূত্র আরও জানায়, ক্রসফায়ার ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগে বরিশালের সাবেক পুলিশ সুপার ও বর্তমানে সারদা পুলিশ একাডেমির সাপ্লাই বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডিআইজি এহসানুল্লাহকে আটক করতে বুধবার ভোরে অভিযান চালানো হয়।
কিন্তু অভিযানের সময় তিনি একাডেমির ভেতর থেকে রহস্যজনকভাবে পালিয়ে যান। অভিযোগ উঠেছে, একাডেমিতে দায়িত্বে থাকা কয়েকজন কর্মকর্তা তার পালাতে সহায়তা করেছেন।
আইসিটির প্রতিনিধিরা ভোর ৬টার দিকে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় সারদা একাডেমিতে পৌঁছালেও নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের প্রবেশে বিলম্ব ঘটান, যা ডিআইজি এহসানুল্লাহর পালানোর সুযোগ তৈরি করে দেয়।
এ ঘটনায় একাডেমির প্রিন্সিপালসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। সারাদিন বিষয়টি রাজশাহীসহ পুলিশ মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।







