জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশি চলচ্চিত্র বা নাটক দেখা কিংবা অন্যের সঙ্গে বিনিময় করার মতো কাজেও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করছে উত্তর কোরিয়া।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, একনায়কতান্ত্রিক সরকার দেশটির জনগণকে বাধ্যতামূলক শ্রমে নিয়োজিত করছে এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছে। গত এক দশকে উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ বহুগুণে বেড়েছে।
জাতিসংঘের মতে, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে সরকার নজরদারির মাত্রা এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে আজকের পৃথিবীতে অন্য কোনো দেশের মানুষ এত কড়াকড়ির মধ্যে নেই।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন, যদি এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকে, তবে উত্তর কোরিয়ার জনগণ আগের চেয়ে আরও ভয়াবহ দুর্ভোগ, নিপীড়ন ও আতঙ্কের মুখে পড়বে।

