রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি :
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে পানখালী কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিখণ কেন্দ্রে জলবায়ু সংকট, এগ্রোইকোলজি ও উপকূলের স্থানীয় অভিযোজন কৌশল বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
পানখালী কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিখণ কেন্দ্রের প্রতিনিধি কনিকা রানীর সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিখণ কেন্দ্রের প্রতিনিধি অল্পনা রানী, সরমা রানী, গোবিন্দ মন্ডল ও নিমাই মন্ডল। এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, পদ্মপুকুর, আটুলিয়া ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের কৃষক, কৃষানীসহ যুব উদ্যোক্তা জলবায়ু সংকটে উপকূলে টিকে থাকতে নানা ধরনের অভিযোজন কৌশলের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কৃষক গোবিন্দ মন্ডল বস্তায় আদা চাষ, অচাষকৃত উদ্ভিদ গুণাগুণ এবং সমন্বিত চাষাবাদ পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। মথুরাপুর কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিখণ কেন্দ্রের প্রতিনিধি সরমা রানী জলাবদ্ধতা, খরা, লবনাক্ততা, পানির সংকট, অতিবৃষ্টি ও অল্প জায়গায় সহজ ও কার্যকরি চাষাবাদ পদ্ধতি টাওয়ার তৈরির নিয়মাবলি, জলপট্টির ব্যবহার, স্যালাইন পদ্ধতি সম্পর্কে হাতে কলমে শিখান।
জলবায়ু পরিবর্তনে কৃষক সংকট মোকাবিলা করে কৃষি কাজকে এগিয়ে নিতে উদ্যোগী ও আগ্রহী হয়ে বিষমুক্ত খাবার উৎপাদনে সকলের প্রচেষ্টাকে জোরদার করার আহবান জানান সুন্দরবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিক রণজিৎ বর্মণ।
কৃষির মূল ও অন্যতম উপাদান বীজ। উপকূলীয় অঞ্চলে স্থানীয় জাতের বীজের গুরুত্ব উল্লেখ করে বীজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণের নিয়ম ও পদ্ধতির স্বচ্ছ ধারণা দেন শাপলা নারী উন্নয়ন সংগঠনের সভানেত্রী অল্পনা রানী মিস্ত্রি।
এছাড়া প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদ্দার, বারসিক কর্মকর্তা বরষা গাইন,মনিকা রানী, কৃষক হিরা বেগম প্রমুখ।
এছাড়া কুইক কম্পোস্ট, ভার্মি কম্পোস্ট, গর্ত কম্পোস্ট, অচাষকৃত উদ্ভিদ সংরক্ষণ, গাছে ফুল ফল বৃদ্ধিতে হরলিক্স ব্যবহার, উপকারী পোকামাকড়, বস্তায় চাষাবাদ পদ্ধতি সহ কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিখণ কেন্দ্র পরিদর্শন ও মুক্ত আলোচনার মাধ্যনে দুই দিনব্যাপী স্থানীয় অভিযোজন কৌশল বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি সম্পন্ন হয়।







