নবজাতকরা কথা বলতে পারে না, কিন্তু তাদের আচরণ বোঝার ক্ষমতা চমকপ্রদ। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটির Infant Cognition Center-এর সাম্প্রতিক গবেষণা দেখিয়েছে, শিশুরা জন্মের কয়েক মাসের মধ্যেই “সহায়ক” ও “ক্ষতিকর” ব্যক্তিদের পার্থক্য করতে সক্ষম।
গবেষণায় পাপেট শো ব্যবহার করে দেখা গেছে—শিশুরা এমন চরিত্রের দিকে বারবার হাত বাড়ায়, যারা বিনয়ী, সহানুভূতিশীল বা সাহায্যকারী। বিপরীতে, যেসব পাপেট আক্রমণাত্মক, অনির্দেশনীয় বা ক্ষতিকর আচরণ দেখায়, শিশুরা সেগুলো এড়িয়ে চলে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি মানুষের প্রাথমিক বেঁচে থাকার নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত। জন্মের পর শিশুর মস্তিষ্ক আশপাশের মানুষের মুখভঙ্গি, কণ্ঠস্বর, চলাফেরা ও আবেগ বোঝার মাধ্যমে দ্রুত নির্ধারণ করতে শেখে—কার কাছে তারা নিরাপদ, কার কাছে নয়।
এর মানে হলো, হাঁটতে বা কথা বলতে শেখার আগে শিশুরা নীরবে পুরো পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করে এবং নিজের সিদ্ধান্ত নেয়—এই মানুষটা কি নিরাপদ? আমি কি তার কাছে যেতে চাই?
শিশুরা শব্দে প্রকাশ করতে না পারলেও, ঘনিষ্ঠ হওয়া, শান্ত থাকা বা হঠাৎ সরে যাওয়া মত আচরণে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, তারা কাকে বিশ্বাস করে এবং কাকে নয়।

