- শান্তিপূর্ণ ঈদ-উল-আযহা উদযাপনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর: এপ্রিল মাস নির্বাচন উপযোগী নয়, ডিসেম্বরে নির্বাচন জাতির জন্য ভালো হবে
- নিজের বিদায়ের কথা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
- স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএনপির সিদ্ধান্ত: ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের দাবি
- কৃষকের মাথায় হাত: দুর্বৃত্তদের আক্রমণে মরিচ চাষে বড় ক্ষতি
- ভাড়া করা বিদেশি সরকারের রাজনীতি আর চলবে না: ইশরাক
- আত্মত্যাগের সর্বোচ্চ মহিমায় উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা
- বিশনন্দী ফেরিঘাটে অটোরিকশাসহ নদীতে পড়ে ২ নারী নিখোঁজ
শীর্ষ নিউজ
ঢাকা প্রতিনিধি:নির্বাচনের আগে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নাটকীয় মোড়—নিজের বিদায়ের বার্তা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে তিনি স্পষ্টভাবে জানান, নির্ধারিত সময়ের…
সদরুল আইন: মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে একটি হলো…
ঢাকা: জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন অন্তর্বর্তী…
সদরুল আইন: চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। শনিবার…
দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, জনমনে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তার মধ্যে আজ শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে গুরুত্বপূর্ণ এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। একনেক (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) বৈঠক শেষে, প্রায় কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই শুরু হয় এই অনির্ধারিত বৈঠক। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে শুরু হওয়া এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। উপস্থিত রয়েছেন সরকারের ১৯ জন উপদেষ্টা, যাঁরা সবাই পতাকাবাহী গাড়িতে করে সম্মেলনস্থলে পৌঁছান। এনইসি ভবনের সম্মেলন কক্ষের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা ১৯টি পতাকাবাহী গাড়ি ইতোমধ্যে সংবাদকর্মী ও বিশ্লেষকদের দৃষ্টি কেড়েছে। যদিও বৈঠকের আনুষ্ঠানিক এজেন্ডা এখনো প্রকাশ করা হয়নি, তবে সূত্র বলছে, সাম্প্রতিক কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত রাজনৈতিক সহিংসতা, নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব ও আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে মূলত আলোচনা হচ্ছে। একইসঙ্গে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ এবং দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়েও আলোচনা চলছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বৈঠক শুধু উপদেষ্টা পর্যায়ের সাধারণ আলোচনা নয়, বরং এটি আগামী দিনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত বহন করতে পারে। যেহেতু প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং সব সদস্য উপস্থিত, তাই এটিকে একটি ‘ক্লোজড-ডোর স্ট্র্যাটেজিক কনসালটেশন’ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। বৈঠকের পটভূমিতে রয়েছে লন্ডনে বাংলাদেশি প্রভাবশালীদের দুর্নীতিসংশ্লিষ্ট সম্পদ জব্দের ঘটনা, যা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গের সম্পত্তি ফ্রিজ করার সিদ্ধান্ত, বাংলাদেশ সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়িয়েছে। এছাড়াও দেশের অভ্যন্তরে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব, বিদ্যুৎ-সংকট ও সুশাসনের অভাব নিয়ে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে, উপদেষ্টা পরিষদের ভূমিকা ও কৌশল এখন গুরুত্বের কেন্দ্রে। বৈঠকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এনইসি সম্মেলন কেন্দ্র ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সাংবাদিকদের সম্মেলন কক্ষে প্রবেশ নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে এবং গণমাধ্যমকে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং দেওয়া হয়নি। এই অনির্ধারিত ও রুদ্ধদ্বার বৈঠক ঘিরে জনমনে এখন একটাই প্রশ্ন—এটি কী একটি বড়ো রাজনৈতিক পরিবর্তনের পূর্বাভাস? বিশেষত যখন সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে, তখন এই বৈঠক থেকে কী বার্তা আসবে, সেটাই সকলের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু।
ফাঁস হচ্ছে আরও প্রভাবশালীদের নাম লন্ডনের অভিজাত এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মোট ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১,২৮০ কোটি টাকা) মূল্যের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, বাড়ি ও বাণিজ্যিক সম্পত্তি যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ দমন সংস্থা (National Crime Agency – NCA) সাময়িকভাবে জব্দ করেছে। এই সম্পত্তিগুলো বাংলাদেশের একটি প্রভাবশালী সাবেক রাজনৈতিক পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। NCA-এর বরাত দিয়ে ব্রিটিশ মিডিয়া জানিয়েছে, সম্পত্তিগুলোর মালিকানা জটিল অফশোর কোম্পানি ও ট্রাস্টের মাধ্যমে গোপন রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিনের অনুসন্ধান এবং অর্থপাচারের অভিযোগের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি মনে করছে, এই সম্পদসমূহের উৎস অস্বচ্ছ এবং সেগুলোর পেছনে দুর্নীতির অর্থ থাকার সম্ভাবনা প্রবল। অস্বচ্ছ আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ জাতীয় অপরাধ দমন সংস্থার তদন্তে দেখা গেছে, এসব সম্পত্তি কিনতে যে অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে, তার কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। লেনদেনের তথ্য ও ব্যাংকিং রেকর্ড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিভিন্ন দেশ থেকে একাধিক স্তরের ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে এই অর্থ লন্ডনে প্রবাহিত হয়েছে, যার অনেকটাই বাংলাদেশ থেকে আসা অর্থের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, এ ধরনের জব্দ করার ঘটনা প্রথম নয়। এর আগে ২০১৯ সালে একই ধরনের একটি অভিযানে আজারবাইজানের এক দুর্নীতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের লন্ডনের £৫০ মিলিয়নের সম্পদ জব্দ করেছিল NCA। তবে বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক পরিবারের বিরুদ্ধে এই প্রথম এত বড় পরিসরে যুক্তরাজ্যে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলো। অভিযুক্ত কারা? যদিও NCA এখনো অভিযুক্তদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি, তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, এই সম্পত্তিগুলোর পেছনে বাংলাদেশের এক সাবেক সামরিক শাসকের পরিবারের সদস্যদের নাম জড়িত থাকতে পারে। সংশ্লিষ্টরা লন্ডনে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন এবং ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বিনিয়োগ করেছেন বলে জানা যায়। এছাড়াও, এই পরিবারের বিরুদ্ধে অতীতে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো অর্থপাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারের একাধিক অভিযোগ এনেছিল। যদিও দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রভাবশালী হওয়ায় এসব অভিযোগের তদন্ত কার্যকরভাবে এগোয়নি।…
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের ইচ্ছার খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে…
সিনিয়র রিপোর্টার: বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আজ বৈঠকে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস।…
প্রধান উপদেষ্টাকে দায়িত্বে থেকেই রাজনৈতিকভাবে দেশের সকল সংকটের সমাধান করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়…
Editors Picks
Latest Posts
Subscribe to News
Get the latest sports news from NewsSite about world, sports and politics.
আপডেট সদস্যতা
বাংলা এফএম থেকে সরাসরি আপনার ইনবক্সে সর্বশেষ ও আপডেট পান
Publisher: Anwar Murad
Editor: Mo Rashidul Islam (Rashed Manik)
Office- House-164/1, Road-3, Muhammadia Housing Limited, Muhammadpur, Dhaka.Mobile-01915-098961 Email: bangla.fm2020@gmail.com