বাংলাদেশ

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্যারাসেইলিংয়ের সময় ছিটকে পড়ে এক পর্যটক দম্পতি আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে কক্সবাজার শহরের দরিয়ানগর পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা…

Read More

রিয়াদ, সৌদি আরব —বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে নতুন নাটকীয় মোড়—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, সিরিয়ার উপর আরোপিত দীর্ঘমেয়াদি নিষেধাজ্ঞা তিনি প্রত্যাহার করছেন। সৌদি আরব ও তুরস্কের নেতৃত্বের সরাসরি অনুরোধে এই চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। মঙ্গলবার সৌদি রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত “যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি বিনিয়োগ সম্মেলনে” এক আবেগঘন ভাষণে ট্রাম্প বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যের মানুষের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা আছে। সিরিয়ার জনগণ বহুদিন ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছে। এখন তাদের এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে।” তিনি আরও জানান, চলতি সপ্তাহের শেষেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও তুরস্ক সফর করবেন এবং সেখানে সিরিয়ার নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় যুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। সৌদি ও তুর্কি নেতৃত্বের ‘আনুষ্ঠানিক অনুরোধ’ ট্রাম্প বলেন, “ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে আমার গভীর আলোচনা হয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানও এই পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমাকে উৎসাহিত করেছেন। তারা দুজনেই বিশ্বাস করেন, সিরিয়ার জনগণের উন্নতির জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এখন সময়ের দাবি।” নিষেধাজ্ঞাগুলো ‘নির্মম’ হলেও ‘প্রয়োজনীয়’ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাশার আল-আসাদের সময় এই নিষেধাজ্ঞা একটি বড় ভূমিকা পালন করেছিল। তবে এখন সময় এসেছে, যখন আমাদের অতীত ভুলে ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে হবে।” আহমেদ আল-সারার আবির্ভাব ও কূটনৈতিক সম্ভাবনা…

গত রোববার (১১ মে) রাত ১১টা ১৭ মিনিটে একটি ফেসবুক পেজ ‘আমার দেশ’-এ একটি পোস্ট ভাইরাল হয়, যেখানে দাবি করা হয় যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করেছেন। পোস্টটিতে বলা হয়, “ইউনূস আমার বন্ধু এবং তিনি অত্যন্ত উচ্চ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন লোক। ট্রাম্প আরও বলেন, বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে খুবই ভালো করছেন ইউনূস।” এই পোস্টটি পরবর্তীতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন। তবে কিছু সময় পর সেটি মুছে ফেলেন তিনি। তার শেয়ার করা পোস্টটি প্রকাশ্যে আসার পর এটি দ্রুতই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে, কিন্তু এর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তথ্য যাচাইকারী সংস্থা ‘রিউমর স্ক্যানার’। রিউমর স্ক্যানার তাদের ফেসবুক পেজে জানায়, যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে তা এডিট করা এবং ভুয়া। তারা আরো জানায়, ভিডিওটি আসলে ট্রাম্পের অন্য একটি বক্তব্যের এডিট করা সংস্করণ, যেখানে ড. ইউনূসের সম্পর্কে প্রশংসা করার কোনো উল্লেখ ছিল না। এখানে মূল সমস্যাটি হলো ভুয়া তথ্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এবং সেটি প্রচার করা, যা কখনো কখনো সাধারণ জনগণের কাছে বিভ্রান্তি তৈরি করে। বিশেষ করে যখন এটি সমাজের আলোচিত ব্যক্তিদের, যেমন ড. ইউনূসের মতো বিশ্বব্যাপী পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত হয়। এ ঘটনায়, আসিফ নজরুলের ফেসবুক পেজে শেয়ার করা পোস্টের মাধ্যমে ভুল তথ্যের প্রসার ঘটে এবং পরে তা মুছে ফেলা হলেও, এতে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে তা অস্বীকার করা যায় না। এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের খারাপ প্রভাব এবং ভুয়া তথ্যের দ্রুত বিস্তারকে আরও একবার প্রমাণিত করে। তথ্য যাচাইয়ের গুরুত্ব এবং ফ্যাক্ট-চেকিং এর প্রয়োজনীয়তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। রিউমর স্ক্যানার এর মতো সংস্থাগুলোর কাজ সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আমরা সঠিক তথ্য পাই এবং ভুল তথ্য ছড়ানোর পরিণতি থেকে রক্ষা পেতে পারি।

হোয়াইট হাউস বর্তমানে কাতারের রাজপরিবারের সঙ্গে একটি বিলাসবহুল বোয়িং 747-8 বিমান সাময়িকভাবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবহারের জন্য পাওয়া নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এই বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জন্য ব্যবহৃত “এয়ার ফোর্স ওয়ান” হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে, যদিও এখনো এই বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কাতারের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে এটি কোনো উপহার নয়, বরং “সাময়িক ব্যবহারের জন্য” দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। বিষয়টি বর্তমানে কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের মধ্যে আলোচনা পর্যায়ে রয়েছে এবং উভয় পক্ষের আইনি বিভাগ এই প্রস্তাব মূল্যায়ন করছে। এই ঘটনাটি এমন একটি সময়ে সামনে এলো যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বড় আন্তর্জাতিক সফরে কাতার সফরে যাচ্ছেন। ২০১৯ সালেও কাতার ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিশাল পরিমাণে বিমান কেনার ঘোষণা দিয়েছিল। অতীতে কাতার তুরস্কের মতো দেশকে বিলাসবহুল ব্যক্তিগত বিমান উপহার দিয়েছে, ফলে এই ধরনের আলোচনার পেছনে কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট থাকাটাও অসম্ভব নয়। সূত্র অনুযায়ী, যে বিমানটি দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে সেটি বোয়িং 747-8 মডেলের—a একটি অত্যাধুনিক ও দীর্ঘ পাল্লার বিলাসবহুল বিমান, যা “flying palace” বা আকাশের রাজপ্রাসাদ নামেও পরিচিত। তবে এই বিমানটি এখনই প্রেসিডেন্টের ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত নয়। এটি নিরাপত্তা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে, এবং প্রেসিডেন্সিয়াল ব্যবহারের উপযোগী করে তুলতে ভেতরে বিশেষ যন্ত্রপাতি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও কমিউনিকেশন সিস্টেম বসাতে হবে। বর্তমানে হোয়াইট হাউসের বহরে দুটি পুরনো বোয়িং 747-200B বিমান রয়েছে, যেগুলো ১৯৯০ এবং ১৯৯১ সাল থেকে প্রেসিডেন্সিয়াল প্লেন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদে বোয়িংয়ের সঙ্গে দুটি নতুন 747-8 বিমান নির্মাণের চুক্তি হলেও, কোম্পানিটি জানিয়েছে এই বিমান দুটি ২০২৭ বা…

Latest Posts
Advertisement
Demo

Publisher: Anwar Murad
Editor: Mo Rashidul Islam (Rashed Manik)

Office- House-164/1, Road-3, Muhammadia Housing Limited, Muhammadpur, Dhaka.Mobile-01915-098961 Email: bangla.fm2020@gmail.com

© 2025 BanglaFM. All Rights