বয়স থামিয়ে দেওয়ার গবেষণায় বৈপ্লবিক অগ্রগতি এনে দিলেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে তারা এমন এক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন, যা মানুষের ত্বকের কোষকে প্রায় ৩০ বছর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে সক্ষম, তাও আবার কোষের মূল পরিচয় অক্ষুণ্ণ রেখেই—যা বিজ্ঞান জগতে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা এই গবেষণায় ব্যবহার করেছেন ইয়ামানাকা রি–প্রোগ্রামিং প্রযুক্তির একটি পরিশোধিত সংস্করণ। সাধারণত এই প্রযুক্তিতে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক কোষকে সম্পূর্ণভাবে স্টেম সেলে রূপান্তর করা সম্ভব। কিন্তু নতুন এই পদ্ধতিতে কোষের পরিচয় না বদলে ‘তরুণ’ অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে—যা এত দিন অসম্ভব বলে মনে করা হতো।
গবেষকদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে—
মাত্র ১২ দিনের মধ্যেই পুনরুজ্জীবিত ত্বককোষ তরুণ বয়সের মতো কোলাজেন উৎপাদন শুরু করেছে।
ক্ষত সারানোর প্রতিক্রিয়ায়ও কোষগুলো দীর্ঘদিন আগের তরুণ টিস্যুর মতো আচরণ করেছে।
বিস্ময়কর বিষয় হলো, এসব পরিবর্তনের পরও কোষগুলো স্টেম সেলে পরিণত হয়নি; বরং তাদের মৌলিক বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই আবিষ্কার ভবিষ্যতে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে। বিশেষ করে—
বয়সজনিত ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক, পেশি ও অঙ্গ পুনরুজ্জীবিত করা
- বয়স্ক মানুষের ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তোলা
- কোষীয় পর্যায়ে বয়স–সম্পর্কিত রোগের অগ্রগতি থামানো
- এমনকি মানুষের আয়ু বৃদ্ধির সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে
গবেষণাটি এখনও প্রাথমিক ধাপে রয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, জৈবিক বয়স সত্যিকারের উল্টো দিকে ঘোরানোর ক্ষেত্রে মানবজাতি কখনোই এতটা কাছাকাছি পৌঁছায়নি।

