যুক্তরাজ্যের ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সম্প্রতি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কমিউনিটি নেতা চৌধুরী মঈনুদ্দিনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে এবং তাঁকে দুই লাখ ২৫ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা) ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সম্মত হয়েছে।
এর আগে, ২০১৯ সালে ব্রিটিশ হোম অফিসের ওয়েবসাইটে মঈনুদ্দিনকে এক্সট্রিমিজমের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়। প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ হিসেবে বাংলাদেশের তৎকালীন আইসিটি মামলার রায় উল্লেখ করা হয়।
তবে মঈনুদ্দিন এই অভিযোগকে মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে দাবি করেন। তিনি ব্রিটিশ হোম সেক্রেটারির বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানির পর, ২০২৪ সালের ২০ জুন যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট তার পক্ষে সর্বসম্মত রায় দেন।
সুপ্রীম কোর্টের রায়ের পর হোম অফিস ‘অফার অব অ্যামেন্ডস’ প্রদানের মাধ্যমে ক্ষমাপ্রার্থনা করে। মঙ্গলবার আদালতে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা যৌথ বিবৃতি পড়ে শোনান। আদালতের রায় অনুযায়ী, মঈনুদ্দিনের বিরুদ্ধে পূর্বে প্রকাশিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল।
মঈনুদ্দিন আদালতের বাইরে বলেন, “এই রায় আমার জন্য আনন্দের ও গৌরবের। সত্যের প্রভাব চিরস্থায়ী—এটি প্রমাণিত হলো। অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, এবং দীর্ঘ সময় ধরে মানসিক চাপের মধ্যে থেকেও ন্যায়বিচার পেয়েছি।”
তার আইনজীবী দল, কার্টার-রাকের অ্যাডাম টিউডর ও নাতাশা ডোলিসহ, যৌথভাবে তাকে আদালতে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
মঈনুদ্দিন ১৯৭৩ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন এবং ১৯৮৪ সাল থেকে নাগরিক। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোকে সবসময়ই তিনি মিথ্যা ও রাজনৈতিক প্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছেন। রায়ের মাধ্যমে বৃটেনের আইন ব্যবস্থায় নজির স্থাপন করেছেন তিনি।







