কমল কৃষ্ণ দে
মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) সংবাদদাতা:
ব্র্যাক জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য কর্মসূচির উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তন ও সচেতনতা বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মাটিরাঙ্গা ব্র্যাকের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার সমন্বয়ক আব্দুল হাকিম হক রিমন সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহমুদুর রহমান।
এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন মাটিরাঙ্গা মেডিকেল অফিসার মিল্টন ত্রিপুরা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ প্রমূখ।
এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন, মাটিরাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো. আবছার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতিনিধিগণ, মাটিরাঙ্গা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইম উদ্দিন মুকুট,বিভিন্ন হেডম্যান প্রতিনিধি, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, বিভিন্ন মন্দির কমিটি প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজ ব্যক্তি বর্গ, সাংবাদিক, রেডক্রিসেন্ট সদস্যবৃন্দ প্রমূখ।
ব্র্যাক জলবায়ু পরিবর্তন স্বাস্থ্য প্রকল্প অফিসার নাজমুল হোসেন প্রোগ্রামে স্লাইডের মাধ্যমে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সাবধানে ও সচেতনভাবে হাওরে কাজ করা, জলবায়ু পরিবর্তন এর ফলে ঘটিত স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলা করা, হাওরে বজ্রনিরোধক আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা, হিজল, করচ গাছ বনায়ন, বন্যা সহনশীল নদী ও খাল খনন, রাস্তা সংস্কার, পাহাড় কাটা, ঘরের ভিটা উঁচুকরণ, বন্যা পূর্ব-প্রস্তুতির উপর আপদকালীন পরিকল্পনা তৈরি, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে এবং অকাল বন্যা প্রতিরোধ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কর্মপরিকল্পনা সরকারের উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করা হলে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে কার্যকরী অবদান রাখতে পারবে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে সকলে দুর্যোগ মোকাবেলায় সচেতন থাকতে হবে। হাওরে বজ্রনিরোধক আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ এবং বজ্রপাতের সময় নিজেকে নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে। তিনি বলেন, বজ্রপাতের সময় হাওরের জমিতে, হাওর, খাল-বিলে কর্মব্যসন্ত থাকার কারণে প্রায় সময় প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, এসব দুর্যোগ মোকাবেলা করতে খালি জায়গায় তালগাছ, নারকেল গাছ ও খেজুর গাছের চারা রোপণ করতে হবে। গাছ যত সহকারে বেড়ে উঠলে বজ্রপাত থেকে মানুষ নিরাপদ থাকতে পারবে। তিনি আরও বলেন, ব্র্যাকের এ ধরনের প্রকল্প থাকলে এই প্রকল্পের মাধ্যমে বৃক্ষ রোপণের ব্যবস্থা করতে হবে। দুর্যোগ মোকাবেলায় কার্যক্রমে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশে থাকবো। আমরা সকলে মিলে নিরলসভাবে কাজ করবো। এই জন্য দায়িত্বশীলরা আন্তরিকভাবে উদ্যোগ নিতে হবে।