নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকার মাদকের গডফাদার ২৫ টির ও অধিক মাদক মামলার আসামি মো. এহসানুল হক চৌধুরী বাপ্পার অন্যতম সহযোগী চিহ্নিত মাদক কারবারী জাকিরের সাথে ইয়াবার টাকা নিয়ে ভাগ বিতন্ডে জড়িয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সবুজবাগ থানার আওতাধীন ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন।
এরই মধ্য ইয়াবা ও ইয়াবার টাকা নিয়ে তর্কে জড়ানোর একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ভাইরাল সেই ভিডিও তে বিএনপি নেতা ইকবাল তার পাশের মাদক ব্যবসায়ী’কে বলেন, বাবা(ইয়াবা)ডি কই ?এখানে মাহবুব’ডা কেড়া ? পাশে মাদক ব্যবসায়ী বলেন মাহবুব’কে আনাইতেছি,তারে আমি দরাই দিতেছি,তখন বিএনপি নেতা ইকবাল বলেন,তারে দরাই দিতে হবে কেনো,ডেইলী যে ৫০ ডা ১০০ বাবা(ইয়াবা) বিক্রি করতেছো সেই ইয়াবাডি কই? বাবার(ইয়াবা)মারে চোদো, বাবা বিক্রির টাকাডি কই বলেন তিনি ভিডিও তে।
গত ১ নভেম্বর-২৫ ইং বিকাল ৩. থেকে ৪.টা পযর্ন্ত সবুজবাগে বাইকদিয়া এলাকায় ছিলেন ইকবাল হোসেন। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় ইকবাল হোসেন যেখানে মাদককারীর সাথে তর্কে জড়ালেন সেখানে তার একাধীক সাঙ্গ পাঙ্গ হাজির ছিলেন,তারা দীর্ঘ সময় ধরে ঐখানে দলবদ্ধ ভাবে অপেক্ষায় ছিলেন।পরবর্তীতে ইকবাল মাদক কারবারী’জাকির কে সময় মতো হিসাব টি দিয়ে আসার হুমকি ধুমকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।
জনৈক মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ইয়াবার টাকার ভাগ নিতে গেলে গোপন ক্যামরায় জৈনিক ব্যক্তি গোপনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেন যাহা রীতিমত ভাইরাল হয়ে যায়।
একজন রাজনৈতিক জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের পরিবর্তে,একজন রাজনৈতিক নেতার এমন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড অত্যন্ত লজ্জাজনক ও হতাশাজনক।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, সবুজবাগ ও বাসাবো এলাকার ঝিলপাড় এলাকার নির্মাণাধীন ও পরিত্যক্ত ভবনে নিয়মিত মাদকের আসর বসানো ও মাদক কেনাবেচার নেপথ্যে আছেন এহসানুল হক চৌধুরী বাপ্পা ও তার সহযোগি জাকির সহ অন্যান্যরা ।তারাই সবুজবাগ ও বাসাবো এলাকার মাদক ব্যবসার মূল নিয়ন্ত্রক বলে এলাকাবাসী জানান।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সবুজবাগ থানা বিএনপির এক নেতা বলেন,যারা মাদকসেবন করেন ও মাদক কারবারিদের সাথে জড়িত তাদের বিএনপির পদে রাখা উচিত হয়নি।বর্তমান প্রেক্ষাপটে এমন বিতর্কিত মানুষকে বিএনপির নেতৃত্ব দিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, বিএনপির ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হবে বা ইমেজ ক্ষুণ্ণ হবে এমন লোকের বিএনপি করার দরকার সুযোগ নেই। দলটি এখন জনগণের আস্থা অর্জনের যুদ্ধ করছে। বিএনপির কারো বিরুদ্ধে মাদক কারবারে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত সবুজবাগ থানার আওতাধীন ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারি ইকবাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার মামা জাকির মাদকের সাথে আসক্ত আমি তাকে মাদক সেবন ও বিক্রি করতে না করতে গিয়েছি।







