ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনে সংযুক্ত করার প্রতিবাদে আবারও মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছে স্থানীয় জনতা।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ভাঙ্গার হামিরদী ইউনিয়নের মনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কাফনের কাপড় গায়ে জড়িয়ে সড়কে শুয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তারা স্লোগান দেন—‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘দালালি না স্বাধীনতা’ ও ‘রক্ত লাগে রক্ত নে, ভাঙ্গার মাটি ছেড়ে দে’। এছাড়া রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে।
অবস্থান অনুযায়ী, ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের পুকুরিয়া, হামেরদী, ভাঙ্গা দক্ষিণপাড় বাসস্ট্যান্ড এবং ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সুয়াদী ও মনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ চলছে। রেলপথেও গাছের গুঁড়ি ফেলে লাল পতাকা টানিয়ে নকশিকাঁথা কমিউটার ট্রেন অবরোধ করা হয়েছে। ভাঙ্গা রেলওয়ে ষ্টেশন মাষ্টার রনি ব্যাপারী জানান, সকাল সাড়ে আটটার দিকে হামেরদীতে ট্রেন আটকা পড়েছে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি রোকিবুজ্জামান জানিয়েছেন, অবরোধের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার বন্ধ রয়েছে। ভাঙ্গা থানার ওসি আশরাফ হোসেন জানান, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আলগী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ম.ম. ছিদ্দিক মিয়াকে ডিবি পুলিশ আটক করেছে। তার আটকের খবর প্রচারিত হলে হাজার হাজার মানুষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে মহাসড়কে নামেন।
এর আগে শনিবার বিকেলে আলগী ইউপির চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আজ থেকে টানা তিন দিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সড়ক ও রেল অবরোধ চলবে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও এবং দাবি মানা না হলে সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে নির্বাচন বর্জনের ডাক দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত চার দিন ধরে ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনকারীরা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ চালাচ্ছিলেন।