সিলেট ব্যুরো:-
অভিযোগে তিনি বলেন, প্রভাব খাটিয়ে তার জায়গাতে নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন। সেই সাথে মানা হচ্ছেনা বহুতল ভবন নির্মানে সিলেট সিটি কর্পোরশনের কোন আইন।
এ ব্যাপারে সমছুল হক গংদের সিলেট সিটি কর্পোরেশন থেকে বিধি বহির্ভূত-ভাবে ইমারত নির্মান বন্ধের জন্য পর পর ৩টি নোটিশ প্রদান করা হয়।নোটিশে নির্মান কাজ বন্ধ রাখার জন্য এবং ইমারতের অনুমোদিত নক্সা ও ভূমির মালিকানার কাগজাদি দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেয়া হলেও সমছুল হক গংরা এসব নোটিশের তোয়াক্কা না করে বহুতল ভবনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অন্যের জায়গা দখল করে নাইওরপুল এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে সমছুল হক গংদের বিরুদ্ধে।সিলেট নগরীর ১৫নং ওয়ার্ডের সাং-৫০/বি, নাইওরপুল এলাকার নিজাম উদ্দিন নামে একজন ব্যাক্তি সিলেট সিটি কর্পোরেশনে অভিযোগ দেন।
মরহুম মুকিম মিয়া’র ঔরষজাত সন্তান মরহুম মনির মিয়ার পুত্র মোঃ নিজাম উদ্দিন অভিযোগে বলেন, বর্তমানে তিনি ঢাকায় বসবাস করছেন।সিলেট মিউনিসিপ্যাল মৌজার খতিয়ান নং- ৩৭৬, দাগ নং- ১০৯৩৮, বাড়ি রকম মোট ভূমি ৩৫.৬২ শতক জায়গার মূল মালিক ছিলেন মরহুম মাওলানা মুকিম মিয়া সাহেব। মরহুম মুকিম মিয়া’র ঔরষজাত ৬ পুত্র ও ৫ মেয়ে’র মধ্যে উনার দ্বিতীয় স্ত্রী মরহুমা লবজান বিবি’র গর্ভজাত সন্তান ছিলেন একমাত্র ছেলে মরহুম মনির মিয়া ও দুই মেয়ে ইছরাক বানু এবং ছমিরুন নেছা।
নিজাম উদ্দিন অভিযোগে আরো উল্ল্যেখ করেন, তার পিতা মরহুম মনির মিয়া চাকুরীসূত্রে ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগে মরহুম মুকিম মিয়া’র পুত্র মরহুম শফিকুল হক কৌশলে তার ভাই মরহুম মনির মিয়া ও দুই বোনের ভাগের স্বতু দখল করেন।
নিজাম উদ্দিন অভিযোগে আরো বলেন, বর্তমানে ঐ বিরোধপূর্ণ ভূমিতে মরহুম শফিকুল হকের উত্তরাধিকারী সমছুল হক গংরা বে-আইনিভাবে গৃহ নির্মান করছেন। যা বিরোধপূর্ণ ভূমি মরহুম মুকিম মিয়ার সন্তানদের মধ্যে ভাগ বল্টন হওয়ার আগে কোন রকম গৃহ নির্মান করা আইন বহিভূত কাজ। নিজাম উদ্দিন আরও অভিযোগ করেন, সমছুল হক গং প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিষয়ে কেউ হস্তক্ষেপ করতে চায় না। তাই তিনি জোর করে তাদের জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রাও কোনো সমাধান দিতে পারেননি বলে জানা গেছে।