জাবেদ শেখ, শরীয়তপুর প্রতিনিধি।
গত ১৭ জানুয়ারী শরীয়তপুর সিভিল সার্জন অফিসে ৪৭টি পদের বিপরীতে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেই নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার (৫ ফেব্রæয়ারী) মাদারীপুর সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামানের নেতেৃত্বে শরীয়তপুর সিভিল সার্জন কায়ালয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নিয়োগ সংক্রান্ত দূর্নীতির প্রাথমিক প্রমান মিলেছে। তবে এর পিছনে অর্থ লেনদেন, ক্ষমতার অপব্যবহার বা ভিন্ন কিছু হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখবে দুদক।
দুদক ও সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, ১৭ জানুয়ারী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের ২২, ২৩ ও ২৬ জানুয়ারী মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিনই রাতে চুড়ান্ত নিয়োগ প্রকাশ করা হয়। নিয়োগ প্রাপ্তদের ৩০ জানুয়ারীর মধ্যে যোগদানের নির্দেশ দেন কর্তৃপক্ষ।
অভিযান শেষে সম্বনিত মাদারীপুর দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান জানান, নুসরাত জাহান স্বাস্থ্য সহকারী পদে উত্তীর্ণ হয়েছে। তার স্বামী কবির হোসেন একই পদে গোসাইরহাট উপজেলার আলওয়ালপুর ইউনিয়নে কর্মরত রয়েছে। নুসরাত জাহান তার স্বামীর পরিচয় গোপন করে পিতার পরিচয়ে চাকুরী পায়। নুসরাত জাহান যে ওয়ার্ড কোটায় চাকুরী পায় সেই ওয়ার্ডে আরো ৭ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। সকলেই লিখিত পরীক্ষায় নুসরাত জাহানের চেয়ে বেশী নম্বর পেয়েছে। মৌখিক পরীক্ষায় সকলেই ফেল আর নুসরাত জাহান উর্ত্তীর্ণ হয়। আমাদের মনে হয়েছে এখানে কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। এছাড়াও এই অফিসের প্রধান সহকারী (ভারপ্রাপ্ত) ও স্টোরকিপারের দুর্নীতি পরিলক্ষিত হয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হবে।
এসময় মাদারীপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমানসহ দুদকের টিম অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।