গৃহকর্মীদের অধিকার বাস্তবায়নে গৃহকর্মীদেরকেই সচেতন হতে হবে। কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধি, সাপ্তাহিক ছুটির ব্যবস্থা, মাতৃত্বকল্যাণ সুবিধা প্রাপ্তি, পুনর্বাসনের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। অন্যথায় গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি বাস্তবায়ন বিষয়ক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
বুধবার মোহম্মদপুর আদাবর এলাকায় পদক্ষেপের প্রশিক্ষণ কক্ষে আশার আলো সোসাইটির উদ্যোগে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ত্ব করেন, আশার আলো সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুর রহমান। এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আশার আলো সোসাইটির প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মো. আব্দুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজ সেবা অফিসার একেএম শহিদুজ্জামান বলেন, আমরা মানুষকে সম্মান দেইনা, মানুষের পেশার মর্যাদা দেই না এটাই আমাদের আবহমান কালের সমস্যা। সেই কারনেই আজকে আমরা এখানে পরে আছি। আইন করলেই হয়না আইনকে বাস্তবায়ন করতে হয়্ । গৃহকর্মীদের অধিকারের জন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এবং গৃহকর্মীদের সচেতন করতে হবে তাদের অধিকারের জন্য।
নির্বাহী পরিচালক মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা মমতাহা আরা বেগম বলেন, গৃহকর্মীরা আমাদের অতি জরুরী। একবেলা না আসলে আমাদের অনেক কাজে সমস্যা হয়। বাইরের কাজে যারা যুক্ত তাদের তো আরও বেশি সমস্যা। আমাদের বাড়ির যে পরিবেশ সে পরিবেশ তাদের মাথার মধ্যে দিতে হবে। এবং গৃহকর্মীদের সাথে যদি আমদের ভালো আচরণ থাকে তার সুবিধা অসুবিধা এগুলো আমাদের অবশ্যই দেখতে হবে। গৃহকর্মীদের পরিবারের সাথেও আমাদের যুক্ত হতে হবে। সব মিলিয়ে মানসিকতার ব্যাপার। তাদেরকেও আমাদের বুঝতে হবে এবং আমাদেরকেও তাদের বুঝতে হবে।
সমাজকর্মী মো. আবুল হোসেন আশার আলো সোসাইটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। কর্মস্থল আগে নিরাপদ থাকতে হবে । গৃহকর্মীদের কাজের জায়গার নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। তিনি গৃহকর্মীদের উদ্দ্যেশ্য করে বলেন, সবাইকে এক হতে হবে, সচেতনতার জন্য এক হয়ে লড়াই করতে হবে।
এছাড়াও উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদপুর থানার এএসআই শাহনাজ আক্তারসহ সাংবাদিক, গৃহকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।