আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেন, আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) নেতারা স্যুটকেস গুছিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। এখন তারা বাংলাদেশে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করেছেন এবং অনলাইনে সেই লকডাউন চলছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিভিন্নভাবে দেশে ও বিদেশে প্রদর্শনীমূলক কার্যক্রম চালাচ্ছেন, তবে দেশের জনগণের সঙ্গে সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনা নিজে দিল্লিতে, তাঁর ছেলে আমেরিকায় এবং মেয়ে লন্ডনে বসে এ দেশের মানুষকে ছোট অঙ্কের অর্থ দিয়ে রাস্তায় নামিয়ে দিচ্ছেন।
সমাবেশে শরিফ ওসমান হাদি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বানানো। এরপরও আদালতে হাজির হওয়া উচিত। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি মানেই আগুনের রাজনীতি। ১৯৯৬ সালের আন্দোলনের সময় এবং পরবর্তী সময়ে তারা অরাজকতা ও আগুন-সন্ত্রাস চালিয়েছে।
সমাবেশের পর ইনকিলাব মঞ্চ একটি ‘জজবা জমায়েত ও প্রতিরোধ মিছিল’ বের করে, যা শাহবাগ থেকে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দিকে যায়।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, যেসব দল আওয়ামী লীগের মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলছে, তারা স্বীকার করুক যে, গত এক বছরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পেছনে টাকা নেওয়ার বিষয়ও জড়িত ছিল।
সমাবেশে ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন–বিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা বলেন, গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ তাড়ানো হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও যতবার ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, ততবার তা প্রতিহত করা হবে।

