রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। এতে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই মো. সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
গোয়ালন্দ থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ‘ইমান আকিদা রক্ষা কমিটি’ ব্যানারে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ফকীর মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। বিক্ষোভ সভার পরে জনতা দরবারের দিকে এগোতে চাইলে স্থানীয় প্রশাসন ও থানা পুলিশ তাদের আটকানোর চেষ্টা করে।
এই সময় বিক্ষুব্ধ জনতা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। তারা সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসনের দুইজনকে পিটিয়ে আহত করে। এরপর তারা নুরাল পাগলার বাড়ি ও দরবারের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ভবন ও দরবার শরীফে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এক পর্যায়ে তারা নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড় এলাকায় নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, নুরাল পাগলার দরবারে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

