বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এর আগে আবেদন জমা দেওয়ার সময় চলতি বছরের ১ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত ছিল। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৬ আগস্ট ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের আবেদন আহ্বান করা হয়েছিল। তখন আবেদন গ্রহণের শেষ তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত ছিল। প্রস্তাবনা প্রস্তুত এবং প্রয়োজনীয় দলিলাদি সংগ্রহের জন্য সময় বাড়িয়ে ২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রযুক্তিনির্ভর আর্থিক খাতে বৈশ্বিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল ব্যাংক অনুমোদনের উদ্যোগ নিয়েছে। লক্ষ্য হলো আর্থিক খাতের দক্ষতা বৃদ্ধি, সেবার পরিসর বিস্তৃত করা এবং ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসই) অর্থায়ন সহজ করা। এছাড়া চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগিয়ে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং রেগুলেশন ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) মহাব্যবস্থাপক মো. বায়োজিদ সরকার বলেন, ধারাবাহিক প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ফলে বৈশ্বিক আর্থিক খাতের চিত্র বদলে গেছে। আর্থিক পণ্য ও সেবা প্রদানে কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
আবেদনকারীদের নির্ধারিত প্রস্তাবপত্রের সঙ্গে ৫ লাখ টাকা (অফেরতযোগ্য) ফি জমা দিতে হবে।টাকা যেকোনো তফসিলি ব্যাংক থেকে ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুকূলে দিতে হবে।আবেদনপত্র সরাসরি জমা দেওয়ার পাশাপাশি ই-মেইলের মাধ্যমে সব নথি জমা দিতে হবে। বিস্তারিত নির্দেশনা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
২০২৩ সালের ১৪ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংকের নীতিমালা প্রণয়ন করে। নীতিমালা অনুযায়ী, ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ছিল ১২৫ কোটি টাকা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি বৃদ্ধি করে ৩০০ কোটি টাকা করেছে। প্রচলিত ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে প্রয়োজন ৫০০ কোটি টাকা। ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইনের আওতায় দেওয়া হবে।
ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রধান কার্যালয় থাকবে, কিন্তু শাখা, এটিএম, সিডিএম বা ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) সেবা থাকবে না। সব সেবা অ্যাপনির্ভর, মুঠোফোন বা ডিজিটাল যন্ত্রের মাধ্যমে প্রদান করা হবে।
 
			 
			






