ক্রাইম রিপোর্টার:
রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আরিফুল ইসলাম রাজন এবং বদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাইনুল ইসলাম রাব্বির বিরুদ্ধে একজন বিকাশ ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে নির্যাতন ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে বদরগঞ্জ থানায় মামলাটি করা হয়েছে। মামলাটির বাদি ভুক্তভোগী মোঃ মুন্না বিল্লাহ জানান, গত ২৩ নভেম্বর রবিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। পকেটে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ছিল আসামীরা। নির্যাতনের একপর্যায়ে আমার বিকাশের পিন কোড নম্বর নিয়ে ৮০ হাজার টাকা ক্যাশ আউট করে নেয়। আমার নিকটে থাকা ব্যবসার নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও অনুমানিক ৫০ হাজার টাকা মূল্যর রিচার্য কার্ড ছিনতাই করে নিয়েছে। মামলা করলে হত্যা করবে এমন হুমকীও দিয়েছিল। তবু মামলা করেছি।
এখন জীবনের নিরাপত্তা চাই। মুন্না বিল্লাহ তারাগঞ্জ সয়ার ইউনিয়নের পঞ্চায়েত পাড়া গ্রামে আনিছুল হকের ছেলে। বুড়িরহাট বাজারে বিকাশ ও ইলকট্রনিক ব্যবসা করেন।
মামলাটির এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী মুন্না বিল্লাহ তার কয়েকজন বন্ধুসহ তারাগঞ্জের বুড়িহাট বাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে বদরগঞ্জ পৌরশহরে হকসাহবের মোড়ে বিরিয়ানি খেতে আসেন। খাওয়ার পর মিতা হলেে পাশে একটি দোকানে চা খেতে বসেন।
এ সময় সেখান আগে থেক থাকা রাব্বিসহ অজ্ঞাত ১৫- ২০ মিলে মু্ন্না বিল্লাহ ও তার বন্ধুদের অযাচিত ভাবে জেরা করতে থাকে। একপর্যায়ে বিবাদীরা সবাই ছয়বন্ধুকে একটি বিদ্যালয়ে ভিতরে নিয়ে যায় এবং মারধর করে। পরে সেখান থেক সারারাত বিভিন্ন স্হানে ঘুরিয়ে মমিনপুর এলাকায় ক্যানেল নিয়ে আরেক দফা নির্যাতন করে বিবাদী রাজন এবং রাব্বী। নির্যাতনের একপর্যায় মূন্না বিল্লাহ’র মুঠাফোন কেড়ে নিয়ে বিকাশ পিন কোর্ড নম্বর চায় বিবাদীরা।
ভয়াবহ নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তাদের পিন নাম্বার দিলে টাকা বের করে নেয়। এরপর ভোরের দিকে মমিনপুর বাজার এলাকায় তাদের নিয়ে গেলে ভুক্তভোগীদের চিৎকারে বাজারে লোকজন এগিয়ে এলে বিবাদীরা সবাই পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এজাহারে বিকাশে টাকা বের করে নেয়ার নম্বরগুলা দেয়া হয়েছে ।
আসামী হিসাবে ১নং রংপুর সদর উপজেলার মমিরপুর ইউনিয়নের উত্তর মমিনপুর খারুয়াবাধা নয়াপাড়া গ্রামের মোঃ নুর ইসলাম মাষ্টারের পুত্র ও মমিনপুর ইউনিয়ন বিএনপি শাখার সভাপতি মোঃ আরিফুল ইসলাম রাজন (৩৫), ২নং আসামী বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের মমিনপুর মাক্তারপাড়া গ্রামের আঃ মান্নানের পুত্র ও বদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্র দলের সদস্য সচিব মোঃ রাব্বি ইসলাম (৩২), ৩নং আসামী দক্ষিন মমিনপুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মোঃ দেলোয়ার মেম্বারের পুত্র মোঃ কাইফুল ইসলাম (৩৪), ৪নং আসামী শাহাপুর কথাকলি রাড, বদরগঞ্জ পৌরসভার আমিনুল ইসলামের পুত্র
মোঃ অনিক ইসলাম (২৭) উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনকে আসামী করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বদরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একএম আতিকুর রহমান বলেন, ঘটনার সত্যতা আছে। মামলা নেয়া হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ।







