নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
রাজশাহীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে এক মহিলাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। রাজশাহী কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন হড়গ্রাম নতুপাড়া এলাকায় আজ শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা শেষে বিকাল সাড়ে চারটার দিকে ভুক্তভোগী মহিলা এ বিষয়ে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী মহিলার নাম আমেনা। তার বয়স ৩৮ বছর। তিনি নগরীর হড়গ্রাম নতুপাড়া (বিদ্দির পাটাল) এলাকার শামীমের স্ত্রী।
থানায় দাখিলকৃত অভিযোগে তিনি বলেন, ‘নাজমার সাথে আনুমানিক ১৪ বছর পূর্বে আমার দেবর মোঃ সুমনের বিবাহ হয়। বিবাহের পর তাদের সাংসারিক কারনে সম্প্রতি আমার দেবরকে নাজমা ডিভোর্স দেয়। ডিভোর্সের নাজমা ও তার পরিবারের সদস্যরা আমার মেয়ের শশুড় বাড়ি সহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীর নিকট আমাদের বিষয়ে নানা ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার ছড়িয়ে মেয়ে ও আমাদের সংসারে অশান্তি সহ প্রতিবেশীদের নিকট সম্মানহানী করছে।’

তিনি অভিযোগে আরো বলেন, আজ শনিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ১২টার দিকে আমি আমার শাশুড়ীর বাড়ি যায়। যেহেতু তাদের বাড়ি আমার শাশুড়ির বাড়ির পাশেই বিধায় রাস্তায় আমি শহিদার দেখা পায়। তখন তাকে মিথ্যা অপপ্রচার ছড়ানোর বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে আমাকে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বাড়ির ভেতরে ডেকে নেয়। আমি তার বাড়িতে প্রবেশ কওে সেই বিষয় নিয়ে কথা বলতে শুরু করলে সে বিনা কারণে আমার উপর রাগান্বিত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। একপর্যায়ে সে সহ তার বোন নাজমা মা সালেহা একত্রে আমাকে এলোপাথারি মারধর করে।’
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আমার আর্তচিৎকার শুনে এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় বলেও তিনি অভিযোগে লিখেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে ভুক্তভোগীর মেয়ে জামাই লেখক, উন্নয়ন ও অধিকারকর্মী মো. শামীউল আলীম শাওন বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে তা অনাকাঙ্খিত। লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আমি আশা করি পুলিশ প্রশাসন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের বিষয়ে আইনানুগ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’

