লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
গতকাল সোমবার ২১-১০-২৫ তারিখ বিকেলে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলা জামায়াতে
ইসলামীর আমীর হাফেজ শোয়াইব আহমেদে জোংড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে আয়োজিত জামায়াতের
উঠান বৈঠকে বলেন, “আমরা দায়িত্বশীল হিসেবে এখনো কোনো কঠিন কথা বলি নাই। যদি কোন কঠিন
কথা বলতে বাধ্য করেন, তাহলে চামড়া পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যাবে না, পিঠের চামড়া তুলে দেওয়া হবে।
কোনো মায়ের পুত নাই আমাদের সামনে কথা বলে। আমরা এখনো আঙ্গুল বাঁকা করি নাই। তোমরা কত
বড় মাস্তান হয়েছো, তোমরা কত মায়ের দুধ খেয়েছ, তোমাদের মুখ চিপ করে দুধ বের করে দেওয়া হবে
ইনশাল্লাহ। আমরা মুখ খারাপ করতে চাই না। এত বড় সাহস কোথায় পেলেন মিয়ারা, প্রোগ্রামে বাধা
দেন। সামনে কথা হবে।”
উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম-০১ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য
প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম রাজু, পাটগ্রাম পৌর জামায়াতের আমীর সোহেল রানা, উপজেলা শিবির
সভাপতি আলমগীর খোরশেদসহ দলীয় অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
তার এই বক্তব্যের ভিডও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার
জন্মদেয়। বক্তব্যটি ফেসবুকে প্রকাশের পর নিজ দলের মধ্যেই সৃষ্টি হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ
কেউ বক্তব্যটিকে আপত্তিকর আখ্যা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনামূলক মন্তব্য
করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাফেজ শোয়াইব আহমেদ বলেন, “সারাদেশের মতো পাটগ্রামেও আমাদের
বিভিন্ন উঠান বৈঠকে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে বাধা প্রদান করে আসছে। সম্প্রতি মহিলা
জামায়াতের এক নেত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। জোংড়ার বৈঠকেও অনেকে উপস্থিত
হতে বাধা পেয়েছেন ও হুমকি পেয়েছেন। এজন্য সার্বিকভাবে এ বক্তব্য দিয়েছি।” তিনি আরেও বলেন
“যদি কারও কাছে আমার বক্তব্যের কোনো বাক্য আপত্তিকর মনে হয় বা কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন,
তাহলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।”







