শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এক শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, কয়েক সেকেন্ডের জন্য ঘর কম্পিত হয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়।
ভূমিকপটির মাত্রা প্রাথমিকভাবে ৫.৫ মাত্রা হিসেবে রিপোর্ট করা হয়, এবং এর কেন্দ্রস্থল নির্ধারণ করা হয়েছে নরসিংদীতে, ভূগর্ভে প্রায় ১০ কিমি গভীরে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দারা এই কম্পন অনুভব করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, বরিশাল ও মাওলভীবাজার। কম্পনের তীব্রতা এবং বিস্তৃত প্রভাব আশঙ্কা বাড়িয়েছে যে এটি বড় ধরনের আঘাত হতে পারে।
ভূমিকপটি অনুভব করার সঙ্গে সঙ্গেই অনেক মানুষ আতঙ্কে ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদ এলাকায় আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে, কোন বড় ধরণের ধ্বংস বা প্রাণহানির খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের কম্পন ভবিষ্যতে আরও নাভূমিকপ (aftershock) বা বড় ভূমিকপের ইঙ্গিত দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঢাকা শহরের দ্রুত-বর্ধনশীল অবকাঠামো ও অপরিকল্পিত নগরায়ন ভূমিকম্প প্রতিরোধ ও প্রস্তুতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
সরকারি দৃষ্টিকোণ থেকে এখনও একটি আনুষ্ঠানিক সতর্কতা প্রশিক্ষণ প্রচার করা হয়নি, কিন্তু নাগরিকদের জন্য জরুরি প্রস্তুতির ডাক দেওয়া হচ্ছে — ভূমিকম্প-ড্রিল, জরুরি কিট প্রস্তুত রাখা, এবং ভবনের স্থিরতা মূল্যায়ন করা গুরুত্বপূর্ণ বলে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

