জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পনুট ইউনিয়নের নান্দাইল দিঘী লকরপাড়া গ্রামে এক বিধবা নারীর বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী বিধবা মৃত নান্নু মিয়ার স্ত্রী শাহানা বেগমের বাড়িতে সংঘবদ্ধ ১০–১২ জনের একদল ডাকাত প্রবেশ করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়। এ সময় ডাকাতরা বাধা পেলে শাহানা বেগমকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেধড়ক মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ডাকাতরা প্রায় ৭ লাখ টাকা নগদ ও ৬ ভরি স্বর্ণালংকারসহ ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীর পরিবারের দাবি, ঘটনার সময় কয়েকজন ডাকাতকে তারা চিনতে পেরেছেন। এ ঘটনায় হেহাল, ফজলু ও বাদশা নামের কয়েকজনের নাম অভিযোগে উঠে এসেছে। তবে বিষয়টি বর্তমানে পুলিশের তদন্তাধীন রয়েছে।
এবিষয়ে শাহানার বেগমের মেয়ে নাইস আক্তার বলেন গত ৫ আগস্ট পর মোজ্জাফর আমার মায়ের কাছে চাঁদা দাবি করে। সে হুমকি দেয় চাঁদা না দিলে বাঁচবি না। টাকা গোপনে দিতে হবে, যেন কেউ জানতে না পারে। তারা পরিকল্পিতভাবে আমাদের বাড়িতে ডাকাতি করে আমার মাকে ধারালো অস্ত্র (ছুরি) দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করেছে। এ সময় তারা নগদ ৭ লাখ টাকা ও ৬ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
ডাকাতির পর গুরুতর আহত অবস্থায় শাহানা বেগমকে উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে কালাই থানার ওসি (তদন্ত) দীপেন্দ্রনাথ সিং বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

